ভৈরব পাড়ের কন্যা
মোঃ মিনহাজুল ইসলাম
মন ছুটে যায় এই অবেলায়
দখিন দেশের পানে,
ভৈরব নদের অববাহিকায়
শুধুই আমায় টানে।
দখিনা সমীরে কান পেতে শুনি
সে নদের কলতান,
ভৈরব ঢেউ ডাকছে বুঝি
হুতাশে কাঁদছে প্রাণ।
নদটি ঘেঁষে রয়েছে জড়িয়ে
হরিৎ মাঠের মায়া,
সেই মাঠেতে প্রায়শ পড়ে
মেঘ বালিকার ছায়া।
দুপুরকালে দখিনা পবন
কর্ণে জাগায় অনুরণন,
ভৈরব পাড়ের ওই মাঠেতে
পড়ছে সেই কনের চরণ।
তার চরণের ধূলিকণা যেন
স্বর্ণ হতেও দামি,
সে ধূলি পেলে পরমানন্দে
সর্বাঙ্গ জড়াতাম আমি।
চিত্তহারী সে কন্যার অঙ্গে
রূপ যেন নিরবদ্য,
মায়ায় ভরা মুখখানি তার
সদ্য ফোটা পদ্ম।
ওগো ভৈরব পাড়ের কন্যা,
আমার হৃদয়ে বইছে অথৈ
তোমারি প্রেমের বন্যা।
মন বলছে এই ক্ষণেতে
থাকতো যদি ডানা,
গগন দিয়ে আসতাম উড়ে
করতো না কেউ মানা।
নেই যে ডানা হলোনা ওড়া
তবে পেয়েছি নতুন বুদ্ধি,
এটার ফলেই তাকে দেখার
কামনা হবে সিদ্ধি।
বুড়িগঙ্গা হতে ভৈরব পানে
আসবো নৌকা বেয়ে,
একটি নজর দেখতে তাঁকে
অপলক রইবো চেয়ে।
রচনাকাল : ০৩-০১-২০২০
উৎসর্গ : দক্ষিণবঙ্গের ভৈরব নদের পাড়ে বাসকারী এক কন্যাকে, যার পদচারণায় কোনো এক সবুজ আঙিনা মুখরিত হয়।