আব্দুল্লাহ আল মারুফ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
শীতের আগমনী বার্তায় মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে সৌন্দর্য সরিষার ফুল । গ্রামের যে দিকে তাকানো যায় শুধুই হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ। সরিষা চাষ স্বল্প সময়ে উৎপাদনশীল একটি লাভজনক। যে কারণে কামারখন্দ উপজেলায় সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মধ্যে।
কামারখন্দ উপজেলায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে সরিষার। সরেজমিনে বাড়াকান্দি, রসুলপুর, দসশিকা, কর্ণসূতি, চৌবাড়ি, গোপালপুর, পাঠানপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, হলুদ ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে সরিষা গাছগুলো। মাঠে জুড়ে সরিষা ফুল। আর কয়েকদিনের মধ্যেই কৃষকের ঘরে উঠবে সরিষা।
একসময় কামারখন্দের কৃষকরা শুধু ইরি-বোরো এক ফসলি আবাদ করে শত শত হেক্টর জমি পতিত রাখত। কালের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এ অ লের কৃষকদেরও বুদ্ধির বিকাশ ঘটেছে এবং সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও কম খরচ ও পরিশ্রমে বেশি মুনাফা আসায় সরিষা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। তাই তারা ইরি-বোরো, আমন, পাশাপাশি সরিষা আবাদ বাড়ছে বলে জানালেন কৃষকরা।
রসুলপুর গ্রামের কৃষক মোঃ মোকাদ্দেস হোসেন( ৩০) জানান, এখন পর্যন্ত সরিষা ভালোই মনে হচ্ছে আশা করি আবহাওয়া যদি ঠিক থাকে তাহলে ভালো ফলন পাবো।
বাড়াকান্দি গ্রামের রহমত আলী (৩৫) নামে এক কৃষক বলেন, ৩ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি এখন তো সরিষা ভালোই দেখা যাচ্ছে আশা করি ফলন ভালো হবে। আর সরিষা আবাদে লাভ বেশি এজন্য সরিষা আবাদ করেছি।
কামারখন্দের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত জানান, ‘এ উপজেলায় গত বছর সরিষা আবাদ হয়েছিলো ১০৯০ হেক্টর জমিতে। এবার আবাদ হয়েছে ১১৭৫ হেক্টর জমিতে।
তিনি আরোও বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার ভালো ফলনের পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্যোগ ও পরামর্শে আগামীতে সরিষা আবাদের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে।
৪ মন্তব্য
Pingback: Ask Me Bet
Pingback: ที่จอดรถใกล้ สนามบินสุวรรณภูมิ
Pingback: WM Slot
Pingback: วิเคราะห์บอล