(1) তুমি_ছাড়া
আমি দেশান্তরী হলে
তোমার জন্যই হবো।
আমি অরণ্যে গেলে
তোমাকে নিয়েই যাবো।
তোমাকে পেয়ে,
পেয়েছি হারানো প্রেম,
শান্তি-স্বস্তি-নিজেকে।
তোমাকে ছাড়া বাঁচতে চাইনা
এক মূহুর্তও।
(2) সমাপ্তি_রেখা
এখনো বিশ্বাস হয় না
তোমাতে-আমাতে হবে না কভু দেখা।
এখনো বিশ্বাস হয় না
জীবনে টেনেছো অসমাপ্ত সমাপ্তি রেখা।
(3) পরমাত্মা
একটা উৎসুক মুখ
একজীবন ভীড় করে আছে চোখে।
কতবার চেষ্টা করেছি, তবু পারিনি
অসমাপ্ত ছবিটায় শেষ দু’টি আঁচড় দিতে।
তুমি স্বপ্ন, নাকি সত্য?
তোমার অস্তিত্ব কি কোথাও আছে?
জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে!?
চোখ বুজে পাই…
চোখ খুললেই নাই…
সব জুড়ে আছো তুমি
কোথাও নাই।
(4) অরন্যে_যাব
ছুটি নিয়েছি জীবন থেকে
নদীর মতো এঁকেবেঁকে
কম তো নিলো না বাঁক,
এবার না হয় থাক
কিছুটা অবসর নিজের জন্য,
তাই বেছে নিলাম অরণ্য।।
(5) লাল_নীল
তোমার কাছে লাল চেয়েছি, কৃষ্ণচূড়া;
প্রিয়ার কপোলে ছোয়াবো বলে।
সে চলে গেল অন্যের হাত ধরে,
আমায় ভাসিয়ে দিয়ে নীলে।
(6) জানিনা
যখন রাত্রি দ্বিপ্রহর,
তোমার ঘুম আসে না,
আমার অস্বস্তি কাটেনা।
আমার বুকের খাঁচা ভেঙ্গে,
দীর্ঘশ্বাস আসে,
এরই নাম প্রেম কি না জানিনা।
(7) অবস্থান
তুমি ভালোবেসেছিলে—
আমি করেছিলাম প্রত্যাখ্যান,
তুমি জায়গাটা বদল করে নিলে—
আমি একই জায়গায় রেখে দিলাম।
(8) তোমার_মুখ
তুষারপাত হচ্ছে শেষ বিকেল থেকে
ডানে-বাঁয়ে-সামনে-পেছনে সাদা,
সাদায় দেখি আমার শৈশব।
শৈশবের ঝরা বকুলের মতো
তুষারের শুভ্রতায় তোমার মুখ দেখি।
(9) ভূত
একটা ফুল তোলা রুমাল
তাতে হৃদয় বেসামাল,
একটা প্রেম রংয়ের ঘুড়ি
আর মিথ্যা ভুরি ভুরি
বলেছিলাম, মাথার দিব্যি করে
তোকে পাবার তরে।
তুই উড়িয়ে দিলি হেসে
আমি হার মেনেছি শেষে
এসব করে তোকে কি আর পাবো!?
সব হারিয়ে আজ তুই অচ্ছুৎ
আর আমি(!) তেতুল গাছের ভূত
একদিন তোর ঘাড় মটকে খাবো।