মিনহাজুল ইসলাম,জবি সংবাদদাতা।
পুরান ঢাকায় কলতাবাজারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। রবিবার (২৭ জুন) পুরান ঢাকার কলতাবাজার এলাকায় রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও সূত্রাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সূত্রাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী লকডাউনের কারণে প্রয়োজনীয় বাজার নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। এসময় কবি নজরুল কলেজের পাশে উইনস্টন গলিতে প্রবেশ করলে নির্জন রাস্তার সুযোগে আক্রমণ করে এক যুবক। এসময় শিক্ষার্থীর চিৎকারে মহানগর মহিলা কলেজের দিকে দৌঁড়ে পালায় যুবক। আশপাশে মানুষ থাকলেও কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসেননি বলে জানান সেই শিক্ষার্থী।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তারা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় যৌন হয়রানির মত ঘটনার শিকার হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে এই ঘটনাগুলো ঘটে যাওয়া আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। যৌন হয়রানি ও নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে চারটি দাবি করেছেন। দাবিগুলো হলো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর শ্লীলতাহানির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর পাশাপাশি সার্বক্ষনিক নজরদারিতে রাখতে হবে। অবিলম্বে ছাত্রীহল চালু করে শিক্ষার্থীদের হলে সিট বরাদ্দ দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ‘নিপীড়ন বিরোধী সেল’ গঠন করে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বিনামূল্যে আইনি সহযোগিতা দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে আমরা এবিষয়ে জানিয়েছি, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কয়েকটি টিম জড়িতকে খুঁজে পেতে সকাল থেকেই কাজ করছে। ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলরও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। আমরা তৎপর রয়েছি।
সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ আমরা হাতে পেয়েছি। দ্রুতই দোষীকে খুঁজে বের করা হবে। আমাদের ৫টি টিম কাজ করছে। এলাকার লোকাল সোর্সও আমাদের সাথে কাজ করছে। আমরা খুব গুরুত্বের সাথে বিষয়টা দেখছি।