প্রচ্ছদ / জাতীয় / বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের মর্যাদার আসনে বসিয়েছিলেন : তথ্যমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের মর্যাদার আসনে বসিয়েছিলেন : তথ্যমন্ত্রী

 

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বনেতা। প্রাণবন্ত একজন মানুষ ছিলেন জাতির পিতা। সহজেই মানুষকে আপন করে নিতে পারতেন। সেই সময়কার সাংবাদিকদের তিনি আপন করে নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের মর্যাদার আসনে বসিয়েছিলেন।

আজ বুধবার বিকালে (১২ আগস্ট) পিআইবি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় এসে আইন করে সাংবাদিকদের শ্রমিক বানিয়ে দিয়েছে। সেই আইন সংশোধনের কাজ চলছে। খুব শিগগিরই সাংবাদিকদের আগের মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া হবে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিশিষ্ট সাংবাদিক, কবি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত জাফর ওয়াজেদ। মূল প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের মূল্যায়ন আজও হয়নি। যেমন হয়নি বঙ্গবন্ধুর সামগ্রিক জীবন ও কর্মধারা, তাঁর দর্শন, মতবাদ, দেশ শাসন নিয়ে কোনো বিশ্লেষণ বা গবেষণা। তাঁর দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচির রাজনৈতিক অধ্যায় নিয়ে বহু সমালোচনা হলেও এর অর্থনৈতিক, সামাজিক কর্মসূচি নিয়ে ন্যূনতম আলোচনা বা সমালোচনা কোনোটাই হয়নি।

আলোচনা সভায় সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন তথ্য সচিব ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান কামরুন নাহার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএফইউজে এর সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ও পিআইবি পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন, ডিইউজে এর সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।

কামরুন নাহার বলেন, আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর তিনটি বই পড়তে দিতে হবে। মননে, চিন্তায়, চেতনায় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে ধারণ করতে হবে। তৈরি করতে হবে লক্ষ মুজিব। সেই মুজিবদের হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হবে।

মোল্লা জালাল বলেন, বাঙালি এবং বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুকে আলাদা করা যাবে না। বুদ্ধি দিয়ে নয় ইতিহাস হয় কর্ম দিয়ে। জাতির পিতা কর্ম দিয়েই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।

শাবান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা মানতে পারেন না তাদের এদেশে থাকার অধিকার নেই। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশকে যারা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে তাদেরকে দেশ থেকে নির্বাসিত করতে হবে।

সাইফুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। আমরা লাল-সবুজের পতাকা পেতাম না। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য, নির্যাতিত ও মেহনতি মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তাঁর জীবনাচরণ আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন। বাঙালি জাতিসত্ত্বার পরিচয় দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা করতে হবে। তাঁর ভাষণের প্রতিটি শব্দ নিয়ে গবেষণা করা যাবে। তাঁর ভাষণ সমগ্র পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের ভাষণে পরিণত হয়েছে।

কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখালেখি অনেক হয়েছে। তবে গভীর লেখা নেই বললেই চলে। যারা লুটপাটকারী তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোক হতে পারে না।

সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা দুনিয়ায় বৈষম্যের বিরুদ্ধে মুক্তিকামী মানুষের নেতা এবং প্রেরণার বাতিঘর। করোনার এই নিউ নরম্যাল দুনিয়ায় বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি নিয়ে ভাবনার খোরাক হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কাশেম হুমায়ুন, বিএফইউজে এর যুগ্ম-মহাসচিব আব্দুল মজিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পিআইবির সিনিয়র রিসার্চ অফিসার ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের উপ-পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম কবীর। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহায়তায় অনুষ্ঠানের আয়োজক বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট।

এছাড়াও চেক করুন

প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বঙ্গবন্ধু টানেলে টোল দিলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে টোল দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা …

৩ মন্তব্য