সংবাদ দাতা, আলীকদম প্রতিনিধিঃ
আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ছিদ্দিক কার্বারী পাড়ার মৃত্যু তাহের মিয়ার পরিবারের সদস্যদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এই পরিবারটি ভূমি বিরোধের জের ধরে এলাকার সাধারণ মানুষকে মামলার জালে জড়িয়ে ফেলছে এবং তাদের মামলার জাল থেকে রক্ষা পায়নি উচ্চ পদস্ত পুলিশ কর্মকর্তা। অবশেষে এ পরিবারটির অপকর্মের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানানো হয়েছে আলীকদম উপজেলা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায়।
স্হানীয় ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন ও মোহাম্মদ উল্লাহ জানান – বিগত সময়ে তারা ২৮৯ নং চৈক্ষ্যং মৌজার ৩২৫ নম্বর হোল্ডিং থেকে ১৮ শতক জমি সাফ রেজিস্ট্রী দলিল মূলে দোকান সহ ক্রয় করেন এবং কিছু দিন আগে পুরাতন দোকান ঘর ভেঙ্গে নতুন ভাবে পাকা ভবন নির্মাণ করতে চাইলে মৃত্যু তাহের মিয়ার ছেলে মানিক, শাহ আলম, শফি আলম মিলে আবুল কাসেম কে অতর্কিত ভাবে হামলা করেন, একই স্হানে গত কয়েক দিন আগে শাহ আলম গংরা আবদুল হাকিম কে লোহার রড় দিয়ে মেরে রক্তাক্ত ও জখম করে। এ জমির বিষয়ে শাহ আলম গং বিজ্ঞ আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করেন মামলা নং ১৪৫/১৯ ইং। এর তারা রাতের আধারে জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে ভোক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
উক্ত স্হানে অনুসন্ধানে জানা যায়, সংখ্যালঘু পরিবার থেকে শুরু করে পুলিশ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, স্থানীয় বাসিন্দারা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাহের মিয়ার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে।
গত (১৩ জানুয়াুরি) সোমবার উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় চৈক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, মৃত তাহের মিয়ার পরিবারের সদস্যরা একের পর এক মিথ্যা মামলা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে ভূমিতে বিরোধে জড়িয়ে পড়ছে এবং তাদের কারণে চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ছিদ্দিক কার্বারী পাড়া এলাকায় প্রায় সময় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। হয়রানী হচ্ছে উক্ত এলাকার সাধারণ মানুষ।
উক্ত এলাকার সংখ্যালঘু বাসিন্দা দীনবন্ধুর ছেলে নুনু চন্দ্র দে জানান, ২৮৯নং চৈক্ষ্যং মৌজায় আর/৩২৫ নং হোল্ডিং-এ ২০ শতক জমি রয়েছে তার পিতার নামে। একযুগের বেশী সময় ধরে তিনি বাড়ি নির্মাণ করে সপরিবার বসবাস করছিলেন। কিন্তু তাহের মিয়ার ওয়ারিশরা হিন্দু পরিবারের এ জমিটি আর/৫১ হোল্ডিং এর দাবি করে বান্দরবানে পিটিশন মামলা নং- ৭৪/২০১৪ দায়ের করলেও সার্ভেয়ার দীনবন্ধুর পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন দেন। পরে আদালত মামলাটি নথিজাত করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা পায়নি সংখ্যালঘু পরিবারটি। এ জমি জবরদখল করে নেয় তাহের মিয়ার পরিবারের সদস্যরা।
উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা মিটিং-এ তাহের মিয়ার পরিবারের সদস্যদের নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে অনেকক্ষণ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্য সচিব ওসি কাজী রকিব উদ্দিন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান বলেন- উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তাহের মিয়ার পরিবারের সদস্যরা দ্বারা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, স্থানীয়দের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়রানীসহ একাধিক বিষয় আলোচিত হয়েছে।
তিনি আরও জানান থানার একজন সাবেক ওসির বিরুদ্ধেও এ পরিবারের একজন সদস্যা কর্তৃক আদালতে মিথ্যা মামলা করেছে। মিটিং-এ অনেক সদস্যই এ পরিবারটির নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
One comment
Pingback: Phetchbuncha stadium