সিএন নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা ও বিশ্ব র্যাংকিং-এ স্থান পেতে ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল, সেন্ট্রাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি ও ইউনিভার্সিটি টিচার্চ ট্রেনিং একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন ২০১৮-২০৩০ এ বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে ও বিশ্ব র্যাংকিং-এ স্থান পেতে এসব প্রতিষ্ঠান কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠানের কাঠামো ও স্থাপনের স্বরূপ নির্ধারণে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন বাস্তবায়নে ২১-সদস্য বিশিষ্ট তত্ত্বাবধান কমিটির প্রথম সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান এ কথা জানান।
জুম প্লাটফর্মে আয়োজিত আজ এক সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা এবং ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কোর্স ও ল্যাব অ্যাক্রিডেটেড করার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। নিয়মিতভাবে ও পরিকল্পনা অনুযায়ী এগুলোর মান তদারকি করা হবে। তিনি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন বাস্তবায়নে গঠিত কমিটির মূল্যবান পরামর্শ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর- এর সঞ্চালনায় সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. মো. জাফর ইকবাল, ইউজিসি’র সাবেক সদস্য প্রফেসর ড. ইউসুফ আলী মোল্লা, ইউজিসি প্রফেসর ড. ফখরুল আলম, ইউজিসি’র সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান, এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউজিসি’র এসপিকিউএ বিভাগের পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া এবং স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন বাস্তবায়ন অগ্রগতির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন কমিটির সদস্য-সচিব এবং এসপিকিউএ বিভাগের উপ-পরিচালক বিষ্ণু মল্লিক।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, ১৩ বছরের জন্য স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন বাস্তবায়ন করতে হলে নিবিড়ভাবে এটি তত্ত্বাবধান ও তদারকি করা প্রয়োজন। এছাড়া স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়েও কৌশলগত পরিকল্পনা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান- এর আওতায় ২০২২ সালের মধ্যে উচ্চশিক্ষা খাতে জিডিপির বরাদ্দ ২ উন্নীত করা আবশ্যক। এছাড়া, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের উচ্চশিক্ষা খাতে জিডিপির বরাদ্দ ৬ শতাংশ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২ মন্তব্য
Pingback: honda powersports
Pingback: Purchase Blackberry Dream Online NZ