নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তিচ্ছুকে পছন্দের ‘সাবজেক্ট’ প্রদানে অসহযোগিতা ও সাম্প্রদায়িক মনোবৃত্তির বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাতে দপ্তর সম্পাদক পিয়াস পান্ডে কর্তৃক প্রেরিত বার্তায় এ তথ্য জানা যায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট ইউনিট সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের বি ইউনিটে বিপুল কুমার অপেক্ষমাণ তালিকা ৬৬তম হয়। প্রথমবার ওই শিক্ষার্থী ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হন। পরে ওই শিক্ষার্থী অন্য বিভাগে ভর্তির জন্য মাইগ্রেশন (বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আবেদন) করেন। গত ১১ জানুয়ারি মাইগ্রেশন করা শিক্ষার্থীদের ফলাফল এসমএস মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ওই শিক্ষার্থীকে কোন এসএমস দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবুও ওই শিক্ষার্থী গত ১২ জানুয়ারি নিজ থেকে মাইগ্রেশনের ভর্তির জন্য আসেন। তিনি ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল উপ-কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। জানতে চান, যোগ্যতা থাকা শর্তেও কেন তাকে বিভাগ পরিবর্তনের এসমএম দেওয়া হয়নি? এর কোন সদুত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, তুমি হিন্দু হওয়ায় তোমাকে এসএমস দেওয়া হয়নি।
জাতীয় এক দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি নূরুন্নবী ইসলাম সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক জি. কে. সাদিক বলেন, ‘ধর্ম পরিচয়ের জন্য পছন্দের ‘সাবজেক্টে’ ভর্তি হতে অসহযোগিতা করা বা অনুৎসাহিত করা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার সাথে বেমানান। এটা দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাম্প্রদায়িক মনোবৃত্তির প্রকাশও বটে। যা আমাদের অসাম্প্রদায়িক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজ গঠনের চিন্তার সাথে সাংঘর্ষিক। একজন শিক্ষার্থী তার যোগ্যতা অনুযায়ী যে কোন বিষয়ে ভর্তি হতে পারে কিন্তু তাকে ধর্ম পরিচয়ের জন্য ভর্তি হতে অসহযোগিতা করা বা ‘পরোক্ষা বাঁধা’ দেয়া চরম অন্যায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন বর্হিভূত কাজ। আমরা এমন ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ভর্তিচ্ছুকে স্বীয় পছন্দের বিষয় প্রদান করার দাবি জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন আর না হয় প্রশাসনের প্রতি সে আহ্বান রাখছি।’
৩ মন্তব্য
Pingback: Buy Ruger 9mm Online
Pingback: Buy Marlin Firearms Online
Pingback: LSM99 สมัครบาคาร่า