মিজানুর রহমান সুজন
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
মোবারক মিয়া অাজিজ, বাড়ি চাঁদপুর জেলার মদন থানায়। ছিলো পাকাবাড়ি, গোয়ালের গরু, কয়েকএকর ফসলি জমি,সাজানো সংসার।
মাহাগ্রাসী মেঘনার ভাঙ্গন ফসলি জমির সাথে কেড়ে নিয়েছে বাসতভিটাও। এবছর ৬ হাজার মত মানুষ নদী ভাঙনে গৃহহীন হওয়ায় জায়গা মিলছে না চাঁদপুর অঞ্চলের অাশ্রয়ন কেন্দ্রগুলোতে। সরকারি সহায়তায় মাথা গুঁজবার ঠায় পেয়েছেন বকশিগঞ্জ নদী ভাঙান অাশ্রয়ন প্রকল্পে। তার মত অারও ৮ পরিবারের ৪০ জনকে সাথে নিয়ে রওনা দেন জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার উদ্দেশ্যে।
নদী গর্ভে সর্বস্ব হারিয়ে সেখানে পৌছানোও তাদের জন্য হিমালয় সমান বাঁধা।
তিনদিনের অনাহারে থেকে গতরাতে ফুলপুর উপজেলায় পৌছায় মোবারক মিয়া অাজিজসহ ৪০ জনের এ দলটি। পিছনে রয়ে যাওয়া অন্যদের জন্য ফুলপুরে তাদের অপেক্ষা।
মানুষের দেয়া চিড়া মুড়ি খেয়ে রাত পারকরছেন তারা এমন সংবাদ পেয়ে সরকারি কাজে ময়মনসিংহে থাকায় নিজ অফিসের স্টাফ ও যুব রেড ক্রিসেন্ট ফুলপুর এর স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে তাদের জন্য ৫ দিনের খাবার ও শীতের কম্বল পাঠান উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার।
অপ্রত্যাশীত এমন সহযোগিতায় অাবেগ অাপ্লুত নদী ভাঙ্গানে অসহায় একসময়ের সচ্ছল পরিবার গুলো।
মোবারক মিয়া অাজিজ বলেন ” এক সময় অামারা মানুষ কে দান করতাম, এখন নিজেরা না খেয়ে থাকি, মাইনসের কাছে চাইতে সরম লাগে। ইউএনও স্যার ও স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে এ সাহায্য পেয়ে অামরা খুব খুশি। অন্তত না খেয়ে পথ চলন লাগতো না। ”
ফুলপুর যুব রেড ক্রিসেন্টের প্রধান তাসফিক হক নাফিও বলেন ” ইউএনও স্যারের মাধ্যমে এমন অসহায় মানুষের সাহায্য করতে পরে স্বেচ্ছাসেবক দিবসে স্বেচ্ছাসেবকরাও অাত্বতৃপ্ত।”
ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন ” অামি সংবাদ পায় ফুলপুর উপজেলায় চাঁদপুর থেকে অাসা নদী ভাঙনের কিছু লোক অনাহারী অবস্থায় ফুলপুর পৌঁছেছে, তাৎক্ষণিক ভাবে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে তাদের খাবারও শীতের কম্বল পাঠিয়েছি। তারা যে কয়েকদিন ফুলপুর থাকবেন তাদের সকল ধরনের সহায়তা দিবে উপজেলা প্রশাসন। ”
তাৎক্ষণিকভাবে মানবিক সহায়তা পৌছে দিতে সাহায্য করেছেন ইউএনও অফিসের টেকনিশিয়ান এম.এ বাসার, পিঅাইও অফিসের অফিস সহকারী শফিকুল ইসলাম, রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবক সাখাওত হোসেন, সুজন মিয়া।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে