এম এইচ কবীর, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাতিল হওয়া সান্ধ্যকালীন কোর্স পুনরায় চালুর দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। শিক্ষক সমিতির অন্যতম নির্বাচনী ইশতেহার ছিল এটি। পুনরায় সান্ধ্যকালীন কোর্স যেন না চালু হয় তার প্রতিবাদে সোমবার সকালে প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ‘সান্ধ্যকালীন কোর্স একাডেমিক কাউন্সিলে আবার কেন প্রশাসন জবাব চাই,শিক্ষার্থী নিয়ে বাণিজ্যনীতি এইকি তবে শিক্ষানীতি, ইভিনিং শিক্ষার্থীদের জন্য বিষফোঁড়, আচার্য চায়না উপাচার্য তবে কেন?,টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি বন্ধ করো করতে হবে।’ লিখিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে আব্দুর রউফ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য প্রদান করেন শামীমুল ইসলাম সুমন, মোরশেদ হাবীব, পিয়াস পান্ডে।
পুনরায় সান্ধ্যকালীন কোর্স চালু হলে ক্লাস বর্জন করা হবে বলে বক্তারা বলেন, দেশের রাজনীতিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে হাল ধরেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শুধু নয় প্রাইমারি থেকে শুরু করে হাইস্কুল কলেজ লেভেলে দেখতে পাই এই শিক্ষার বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য কোচিং বন্ধ করে দিচ্ছে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সার্টিফিকেট ব্যবসায় নিজেদের গা ভাসিয়ে দিচ্ছে।
ইবিতে সান্ধ্যকালীন কোর্স বাতিল হওয়ায় যে সুনাম গোটা বাংলাদেশে যে রোল মডেল হয়েছে এটা শিক্ষকদের জন্য যেমন গর্বের ব্যাপার তেমনি কার্মকর্তা কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য গর্বের ব্যাপার। আজকের সভায় যদি সান্ধ্যকালীন কোর্স পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি থেকে যাবে, ক্লাস বন্ধ হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে চতুর্থবর্ষের সাধারণ শিক্ষার্থী হেলাল উদ্দিন বলেন, শক্তিশালী শিক্ষা-ব্যবস্থাই একাটা জাতিকে উন্নত করতে পারে।আর একটা উন্নত জাতি গঠনের কারিগর হিসেবে যাদের ভূমিকা সর্বাগ্রে তারা হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। এরাই যখন “টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রয় ” নীতি গ্রহণ করে তখন একটা পঙ্গু,বর্বর জাতি গঠিত হয়।শিক্ষকরা দুর্নীতিরআশ্রয় নিয়ে টাকার বিনিময়ে সনদ দিয়ে এদের পঙ্গু হিসেবেই গড়ে তুলছে। এইসকল সনদদারীরাও টাকার বিনিময়ে সনদ নিয়ে দুর্নীতিতে লিপ্ত ছাড়া জাতিকে সঠিক সেবা দিবে তাও অলীক স্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এই সান্ধ্যকালীন কোর্স চালু না করে বন্ধ বহাল রাখার বিনীত অনুরোধ করছি।
১১৩ তম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় ক্লাস না করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ও ভর্তিতে যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন না করার অভিযোগে সুপারিশের ভিত্তিতে গতবছরের ২ অক্টোবর ২৪২তম সিন্ডিকেট সভায় বাতিল হওয়া সান্ধ্যকালীন কোর্স পুনরায় চালুর এ দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি।
এ এজেন্ডা সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৫তম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় উত্থাপিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে

৫ মন্তব্য
Pingback: เหยี่ยวไล่นก
Pingback: Buy glock 43x usa
Pingback: คาสิโนออนไลน์
Pingback: โบลเวอร์ kruger
Pingback: kamagra