প্রচ্ছদ / ক্যাম্পাস / ইবিতে বহিরাগত কর্তৃক শিক্ষার্থীকে মারধর

ইবিতে বহিরাগত কর্তৃক শিক্ষার্থীকে মারধর

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) তুচ্ছঘটনাকে কেন্দ্র করে বহিরাগত কর্তৃক মারধরের শিকার হয়েছে কাউছার নামের এক ছাত্র।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় পত্রিকার বিল বাবদ উঠানো টাকার হিসাব চাওয়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান হলে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের সাবেক ছাত্র মিজানুর রহমান কর্তৃক মারধরের শিকার হয়েছে একই বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র কাউছার। হলের স্মৃতিময় ব্লকে এ মারধরের ঘটনা ঘটেছে। মিজানের ছাত্রত্ব শেষ হলেও ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে সে হলে রয়েছে বলে জানায় তার সহপাঠীরা।

স্মৃতিময় ব্লক সূত্রে জানাযায়, মিজান হলের পেপার বিল এবং বিভিন্ন জিনিস কেনার নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে হিসাব বহির্ভূত অতিরিক্ত টাকা দাবী করে। কিন্তু কাওসার অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং কেন টাকা নেয়া হচ্ছে তার হিসাব জানতে চায়।এর জের ধরেই মিজান তার লোক দিয়ে কাওসারকে রুমে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও অতর্কিতভাবে চড়-থাপ্পড় ও মাথায় কিল ঘুষি মারে।

ভুক্তভোগী কাওসার বলেন, “মিজানের হুকুমে তার এক সহচর পত্রিকা বিল ও বালতি কেনার নামে অতিরিক্ত টাকা দাবী করে। কিন্তু আমি অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করি। এতে মিজান আমাকে তার লোক দ্বারা ৪০৫ নং কক্ষে ডেকে পাঠায়। একসময় সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। আর আমি এর প্রতিবাদ করতে গেলে সে আমাকে অতর্কিতভাবে মারধর করতে শুরু করে।”

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে মিজানুর রহমান বলেন, হলের ট্রেডিশন অনুযায়ী সবার থেকে পত্রিকার জন্য টাকা তুলা হয়। কাউছার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমার রুমে ডাকা হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, আমি তাকে মারধর করিনি তবে সে আগে আমাকে ধাক্কা দেয় পরে আমিও ধাক্কা দেই। একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আর আমি বহিরাগত নই। মাস্টার্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়ে গেছে তবে আমি ইমপ্রুভমেন্ট এর জন্য আবেদন করেছি।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “এ ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত নই। মিজান নামের ছেলেটি বর্তমানে ছাত্রলীগের কেউ নয় সে বহিরাগত। হলে থেকে কোন বহিরাগত যদি এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকে তবে আমরা হল প্রশাসনকে অবহিত করবো যেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।”

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আকরাম হোসাইন মজুমদার বলেন, “এ বিষয়ে আমি অবগত নই। যদি কোন অছাত্র, বহিরাগত এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকে ও ভুক্তভোগী অভিযোগ দেয় তবে আমি ব্যবস্থা নিবো।”

এছাড়াও চেক করুন

রাজনৈতিক মামলায় পলাতক সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ

ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের দক্ষিন খাসেবাড়ী মোস্তাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ পিতার- …