নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২০ উপলক্ষ্যে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সময় হট্টগোল পাঁকিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের কয়েকজন শিক্ষক। ২১ ফেব্রুয়ারী রাতের প্রথম প্রহরে এ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শহীদ মিনার জুড়ে। এতে কিছুক্ষণ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের বিঘ্ন ঘটে। শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান পন্ডের চেষ্টা চালিয়ে কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর মোর্শেদুল ইসলাম প্রক্টরকে বলেন, অনুষ্ঠান শেষ হবে পরে আগে এটা সমাধান করুন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে সুষ্ঠুভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষ হয়।
কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি শামসুল ইসলাম জোহা ও সাধারণ সম্পাদক মীর মোর্শেদুল ইসলাম শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর নব গঠিত অফিসার্স এসোসিয়েশনকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের জন্য নাম ঘোষণা করেন সঞ্চালক। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় জোহা-মোর্শেদ।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিনও হট্টগোল পাঁকায়। এসময় তাদের ব্যতীত অন্যকোন সংগঠন ফুল দিতে পারবেনা বলে দাবী করে তারা। প্রগতিশীল শিক্ষক কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও অন্যান্যদের ফুল দেয়া নিয়ে শহীদ বেদিতে এমন হট্টগোল করায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকগণ। এসময় বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিন, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ড. শফিকুল ইসলাম, পরিসংখ্যান বিভাগের মতিয়ার রহমান মোল্লা এবং টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের রফিকুল ইসলাম।
জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামে পাল্টাপাল্টি প্যানেল দেয়ায় পরাজিত হয় মাহবুবুল আরফিন ও আনোয়ারুল হক স্বপন পরিষদ। পরে তারা নির্বাচন ব্যতীত কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ এর কমিটির অনুমোদন আনে।
এসময় অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি বাদে নাম ঘোষণা হবে কেন। এগুলো করে ঝামেলা পাঁকানো হচ্ছে।
কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর মোর্শেদুল ইসলাম বলেন, এসব নোংরামী করার ফলাফল কিন্তু ভাল হবেনা।
কর্মকর্তা সমিতির নির্বাচিত প্রতিনিধি ব্যতীত নব গঠিত অফিসার্স এসোসিয়েশন গঠন করা ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ এর নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুন বঙ্গবন্ধু ইউনিট গঠন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা। এবং এ নতুন কমিটি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা।
এসময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন হট্টগোল থামিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার অনুরোধ জানায়। প্রক্টরকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেয় কর্মকর্তারা। পরে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান আলোচনায় সমাধানের অনুরোধ জানালে তারা শহীদ বেদী ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন বলেন, এটা হচ্ছে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অফিসাররা যেমন দুটি সমিতি করে ফেলেছে। একটি অফিসার এসোসিয়েশন যেটা ফুল দেওয়ার আবেদন করেছে, তারা ফুল দিবে। তার আবেদন আমাদের কাছে আছে। আর বড় ব্যাপার হচ্ছে একুশে ফেব্রুয়ারিতে ফুল যে কেউ দিতে পারে। শিক্ষকদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের একটি ভাগ আছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট যেটি শিক্ষক-কর্মকর্তা মিলে। বিষয়গুলো নিয়ে তারা একটি গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেছিল তারা সফল হয়নি। যদিও প্রাথমিক ভাবে একটু সমস্যা হয়েছে আমি নিজেও হাতজোড় করে বলার চেষ্টা করেছি যে, আপনারা পরে আলোচনা করতে পারেন কিন্তু এত বড় অনুষ্ঠানে সবাই ফুল দেওয়ার অধিকার রাখে। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সময় এমন ঘটনা ভাল দৃষ্টিতে দেখার কোন সুযোগ নেই
এর আগে এ দিবস উপলক্ষ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন উর রশিদ আসকারীর নেতৃত্বে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে শোক র্যালি বের হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে সমবেত হয়। এসময় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা ও রেজিস্ট্রার ( ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগ, শিক্ষক সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ছাত্র সংগঠন শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। পরে ১ মিনিট নিরবতা পালন করে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আ স ম শোয়াইব দোয়া পরিচালনা করেন।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে

১০ মন্তব্য
Pingback: Christian Devotional
Pingback: Buy glock 17 usa for sale
Pingback: купить трусики
Pingback: พรมรถ
Pingback: clothing manufacturer
Pingback: ครูเกอร์
Pingback: บริการพ่นฉนวนพียูโฟม
Pingback: คลินิกกายภาพบำบัด ใกล้ฉัน
Pingback: ufabet789
Pingback: HILO789