এম এইচ কবীর,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
নিয়োগ বাণিজ্য, ক্লাসে অনুপস্থিতি ও ছাত্রীকে হেনস্থার কারণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদাবনতি, বাধ্যতামূলক অবসরগ্রহণসহ ভিন্ন শাস্তি দেয়া হয়েছে।
নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক শাহাদত হোসেন আজাদকে অধ্যাপক পদ থেকে সহযোগী অধ্যাপক এবং বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বাকী বিল্লাহ বিকুলকে সহযোগী পদ থেকে সহকারী অধ্যাপকে পদে পদাবনতি করা হয়েছে।
ক্লাস ফাঁকি এবং অবৈধভাবে বিদেশে অবস্থানের জন্য আইন বিভাগের প্রফেসর ড. গাজী ওমর ফারুক, ইনফরমেশন ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তারিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে বাধ্যতামূলক অবসরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে অভিযোগকারী ছাত্রীকে কোনোরকম হস্তক্ষেপ না করতে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে অনুষ্ঠিত ২৪৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এসএম আব্দুল লতিফ নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও তেল চুরির অভিযোগে মনসুর আলী নামের এক ড্রাইভারকে বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সিন্ডিকেট সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সেলিম তোহা, আইন ও শরীয়াহ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. রেবা মন্ডল, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. অরবিন্দ সাহা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার, মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. জাকারিয়া রহমান, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনিছুর রহমান ও সিন্ডিকেট সচিব এসএম আব্দুল লতিফ প্রমুখ।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে
