সিএন নিউজ ডেস্কঃ
করোনাভাইরাস ঠেকাতে আদা-জল খেয়ে নেমেছে বিশ্ব। কিন্তু রাশ টানা যাচ্ছে না কিছুতেই। এরইমাঝে অদ্ভূত চিকিৎসা পদ্ধতি জানান দিয়ে আলোচনার জন্ম দিচ্ছেন ভারতের কিছু কট্টরবাদী ধর্মীয় নেতা আর এমপিরা। তারা বলছেন, গোবর-গোমূত্রের যজ্ঞে মিলবে মুক্তি। করোনা রুখতে গোমূত্র পার্টি করার ঘোষণাও দিয়েছেন ভারতের হিন্দু মহাসভা প্রধান।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ বলেন, মন প্রশান্ত থাকলে হৃদরোগ, কিডনি-লিভারের সমস্যা সব কিছু থেকে মুক্তি মেলে। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও তাই। হাসিখুশি থাকুন, মানসিক সমস্যা কাটিয়ে উঠুন, করোনাভাইরাস আপনাকে ছুঁতে পারবে না।
কট্টর হিন্দুবাদী অনেকে নানা রোগের চিকিৎসায় গোমূত্রের ব্যবহারের কথা বলে থাকেন। যদিও আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে এর কোনো প্রমাণ মেলেনি কখনও। এরইমধ্যে আসামের বিজেপি দলীয় এক এমপি’র দাবি, গোবর আর গোমূত্রেই নাকি লুকোনো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নির্মূলের হাতিয়ার।
আসামের বিজেপির এমপি সুমন হরিপ্রিয়া বলেন, গোবর-গোমূত্র ক্যান্সার সারায়, সে প্রমাণ আমি নিজে পেয়েছি। ক্যান্সারের ভাইরাসের কাছে করোনাভাইরাস তো তুচ্ছ। গোবর-গোমূত্রের সাথে ঘি আর কিছু ভেষজ মিশিয়ে আগুনে পুড়িয়ে যজ্ঞ করলে, সে ধোঁয়া বাতাসে মিশলে ভাইরাস মরে যাবে। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলবো, চীনকেও এ পরামর্শ দিয়ে ভাইরাস মোকাবেলায় সহযোগিতা করুন।
হাল সময়ের আধুনিক আর জমকালো পার্টি বলতে যা বোঝায়, সে আদলে গোমূত্র পার্টি আয়োজনেরও ঘোষণা দিয়েছেন হিন্দু মহাসভা নেতা। তার দাবি, আমিষভোজীদের স্বেচ্ছাচারিতায় জীবজন্তুর অভিশাপ পড়েছে। যার ফল প্রাণঘাতি করোনা।
হিন্দু মহাসভার প্রধান স্বামী চক্রপানি মহারাজ জানান, জীবহত্যার কারণে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে। মানুষ আমাকে বিশ্বাস করবে না। কিন্তু নিরামিষাশী হলে ভারতে এ ভাইরাস আসতো না। পশুপাখির কান্না শুনে এ ভাইরাস এসেছে তাদের সাহায্য করতে। ভাইরাস মোকাবেলায় সারা ভারতে গোমূত্র পার্টির জন্য বিভিন্ন গৌশালার সাথে যোগাযোগ শুরু করেছি।
গোমূত্র-গোবর নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও, কোভিড নাইনটিনের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথ আর ইউনানির শরনাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মোদি সরকার।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে
৭ মন্তব্য
Pingback: หนังสั้นจีน
Pingback: โบลเวอร์ kruger
Pingback: Go X electric vehicles
Pingback: กิฟฟารีน
Pingback: jav
Pingback: mawinbet
Pingback: ทัวร์แม่ค้าจีน