প্রচ্ছদ / কুমিল্লা ও নাঙ্গলকোট / কুবিতে সাংবাদিককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি

কুবিতে সাংবাদিককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিককে গুলি করে হত্যার হুমকির প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবী জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি’। রবিবার (২১ জুলাই) রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ শামীম ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আহমেদ।

সাংগঠনিক সম্পাদক এম এইচ কবীর স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানা যায়।

বিবৃতিতে ইবিরিই এর নেতারা বলেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আমরা জানতে পারি কুবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শোয়েব হিমেল শুক্রবার রাতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়। এসময় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাইহান ওরফে জিসান তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে সাংবাদিকদের মারতে আসে ও অশ্রাব্যভাষায় গালিগালাজ করে ও লাঞ্চিত করে।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, এতে সাংবাদপত্রের ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ ভিত্তিহীন হয়ে পড়েছে।

এমতাবস্থায় এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে হুমকীদাতাদের ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক শাস্তির দাবী জানায়।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে দশটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হল এবং শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগের জুনিয়র কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শোয়েব হাসান হিমেল সাংবাদিকদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে ঘটনাস্থল থেকে সরে যেতে বলেন।

সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও যুগান্তর প্রতিনিধি তানভীর সাবিক প্রতিবাদ করলে হিমেল বলেন, ‘গুলি করবো। বুলেট সাংবাদিক চিনে না, সাংবাদিক পাইলেই গুলি করে মারবো।’

এসময় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. রাইহান ওরফে জিসান বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমকাল প্রতিনিধি আবু বকর রায়হানকে মারার জন্য তেড়ে আসেন। শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদসহ সিনিয়র নেতারা এ সময় তাদের থামানোর চেষ্টা করেন।

ঐদিন সন্ধ্যায় এক সাংবাদিককে চোখ তুলে নেওয়ার হুমকিও দেন হিমেল।

এছাড়াও চেক করুন

রাজনৈতিক মামলায় পলাতক সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ

ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের দক্ষিন খাসেবাড়ী মোস্তাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ পিতার- …