প্রচ্ছদ / প্রচ্ছদ / ‘কৃষ্ণচূড়া’ রায়হানুল ইসলাম পলকের কবিতা

‘কৃষ্ণচূড়া’ রায়হানুল ইসলাম পলকের কবিতা

কৃষ্ণচূড়া

এস.এম রায়হানুল ইসলাম পলক

কৃষ্ণচূড়া,
জানো কীনা তুমি !!
শিখিয়েছো অপেক্ষা আমায়।
তোমারই অপেক্ষাতে থাকবো সারাজীবন,
যতদিন না মৃত্যু আমাকে থামায় ।

কৃষ্ণচূড়া ,
প্রথম দর্শনেই কেড়েছিলো মন ,
তোমার মাথার বাবরী চুল ।
সেই থেকে এখন অবধি তুমি,
প্রথম দিনেরই স্নিগ্ধ , সতেজ ফুল।

কৃষ্ণচূড়া ,
তোমাতে পাগল হয়েছি আমি ,
কারণ তোমার রক্তলাল জ্বলন্ত কেশ ।
দূর থেকে শুধু দেখেই যাবো আমি ,
সাহস নেই , দূরত্ব আমাকে রেখেছে বেশ ।

কৃষ্ণচূড়া,
চিরন্তন সত্য, তোমাতে মুগ্ধ আমি ।
তোমার চলন অতি সাধারণ ।
এই সাধারণত্বই করেছে তোমায় ,
সবার চেয়ে আলাদা , অসাধারণ ।

কৃষ্ণচূড়া,
তোমাতেই বন্দী আমার ভাবনা ,
কখনও বুঝেছো কিনা তা জানিনা ।
তোমাতেই ডুব দিয়েছি আমি ,
ও কৃষ্ণচূড়া !! তোমার অস্তিত্বও অনেক দামী ।

কৃষ্ণচূড়া,
সময় বড় বেঈমান , যখন তখন-
পাল্টে দেবে হয়তো জীবন ।
একটাই অনুরোধ তোমায়
কৃষ্ণচূড়া হয়ে থেকো সারাজীবন ।

কৃষ্ণচূড়া ,
শোনো একটি কথা, তোমাকে-
বেসেছি অনেক অনেক ভালো ।
স্বাধীন তুমি , পছন্দ আমাকে না ই করতে পারো ,
আমি মানুষটা যে কালো ।

কৃষ্ণচূড়া,
কখনও তোমাকে করিনি উত্তক্ত,
কিংবা, করিনি সমস্যা সৃষ্টি ।
যদি কখনও হয় এমন , পাশে আমি !!
কথা দিলাম , ছুঁতে পারবেনা একফোঁটা বৃষ্টি ।

কৃষ্ণচূড়া,
ক্ষমা করো আমায় ,
যদি হয়ে থাকি কোনো সমস্যার কারণ।
ক্ষমাপ্রার্থী আমি , যদি ক্ষমা না করো ,
নিশ্চুপ থেকে পারবোনা কষ্টটা করতে বুকে ধারণ।

কৃষ্ণচূড়া,
হয়তো একদিন আসবে, অকারণেই-
হঠাত্ মনে পড়বে আমায় ।
চিন্তা নেই, নিশ্চিত থেকো তুমি,
সেদিন আমিও করবো মনে তোমায় ।

কৃষ্ণচূড়া,
একদিন থাকবে চোখের সামনে চশমা –
পেছনে স্বপ্ন আর কল্পনা ।
কল্পনার সীমানাতেই থাকবে তুমি
তোমাকে ঘিরেই রচিব অব্যক্ত সব জল্পনা ।

কৃষ্ণচূড়া,
নামটি ভালো না লাগলে ,
ভূল বুঝোনা , করো ক্ষমা আমাকে।
নিজেকেই আজ কথা দিলাম ,
ভুলবোনা তোমাকে বিড়ি-সিগারেট কিংবা তামাকে ।

কবি: এস.এম রায়হানুল ইসলাম পলক।
শিক্ষার্থী, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ।

এছাড়াও চেক করুন

রাজনৈতিক মামলায় পলাতক সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ

ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের দক্ষিন খাসেবাড়ী মোস্তাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ পিতার- …