প্রচ্ছদ / প্রচ্ছদ / গাইবান্ধায় মাকে মারধরের অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করলো ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী শ্রাবন্তী

গাইবান্ধায় মাকে মারধরের অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করলো ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী শ্রাবন্তী

সাজেদুর আবেদিন শান্তঃ

গাইবান্ধা সদর উপজেলা লক্ষীপুর ইউনিয়নের ধনকুটি গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা ।
সুত্রে প্রকাশ , শ্রাবন্তী রানী যমুনা নামের ১০ম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী গতকাল সোমবার গলায় ওরনা পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ওই ছাত্রীর মায়ের ভাষ্য, তাদের পালিত ছাগল পাশের বাড়ীর শ্রী তপন সরকারের গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে তপন ও তার ছেলে শ্রী লিখন কুমার সরকার তাকে লাঞ্চিত ও অপদস্থ করে। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে শ্রাবন্তী এ পথ বেছে নেন।ওই ছাত্রীর বাবার নাম শ্রী গঙ্গা রায়। শ্রাবন্তী স্থানীয় লক্ষীপুর স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী।

লক্ষীপুর কিন্ডার গার্ডেনের পরিচারক রেজাউল করিম রেজা বলেন, শ্রাবন্তীর বাবা ও মা কিছুটা মানুষিক ভারসাম্যহীন। যমুনার বাবা মাছের ব্যবসা করে ও মা মানুষের বাড়ীতে কাজ করে মেয়ের লেখাপড়া চালাচ্ছিলো। তাদের একটি মেয়ে ও একটি ৮বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে।
শ্রাবন্তী স্থানীয় লক্ষীপুর স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। মেয়ের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে গিয়ে মা-বাবা দুজনে যে আয় করে, তা দিয়ে সংসার চলে না। অতি কষ্ট করে ৪টি ছাগল কিনে প্রতিপালন করছিলো এই ছাগলই তাদের কাল হয়ে গেলো।
এলাকাবাসী জানায়, সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে পাশেই শ্রী তপন সরকারের বাড়ীতে শ্রাবন্তীদের পালিত একটি ছাগল গাছের পাতা খেলে ছাগলটি বেধেঁ রাখেন তারা। খবর পেয়ে শ্রাবন্তীর মা দীপ্তি রানী ছাগলটি আনতে গেলে তপন ও তার ছেলে লিখন তাকে বেধেঁ রেখে তার মেয়ে শ্রাবন্তীকে টেনে হেচরে তাদের বাড়ী নিয়ে গেলে শ্রাবন্তী তার মাকে বাধাঁ অবস্থায় দেখে প্রতিবাদ করে। তখন তপন ও তার ছেলে মিলে শ্রবন্তীকেও কিলঘুশি মারতে থাকে এক পর্য্যায় শ্রাবন্তী সেখান থেকে দৌরে এসে তার নিজ বাড়ীতে ঘরের ধরনার সাথে গলায় ওরনা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
লক্ষিপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন বলেন, শ্রাবন্তী অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। সে ১০ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছিলো। ছাগল গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে শ্রাবন্তীর মাকে বেধেঁ রাখা ও শ্রবন্তীকে মারধররের পরে তার আত্মহত্যার ঘটনার সত্যতা আমরাও ঘটনাস্থলে গিয়ে পেয়েছি।

আজ শ্রাবন্তীর অত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে স্কুলের সামনে আমরা একটি মানববন্ধন করেছি। আমরা স্কুলের সকল শিক্ষকরা শ্রাবন্তীর অসহায় পরিবারের সাথে আছি।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি সাথে সাথে সেখানে এসআই জান্নাতী ও এএসআই জাহিদ কে ঘটনা স্থলে পাঠাই। ছাগল গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে শ্রাবন্তীর মাকে বেধেঁ রাখা ও শ্রবন্তীকে মারধররে পরে তার আত্মহত্যার ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মেয়ের মা দীপ্তি রানী বাদি হয়ে ৩জনের নাম উল্লেখ করে নারী শিশু নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী হিসেবে একটি অভিযোগ করে। আমি মামলাটি রুজু করে আসামীদের ধরতে রাতে অভিযান চালিয়েছি।
এ পর্যন্ত এ মামলায় কাওকে আটক করতে পারিনি তবে আমাদেও অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান ওসি।

এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। লক্ষিপুর স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকরা ও শ্রাবন্তীর সহপাঠিরা আজ সকালে এঘনার এবং আসামীদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিতে লক্ষিপুর স্কুল এন্ড কলেজের সামনের রাস্তার ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে।

এছাড়াও চেক করুন

রাজনৈতিক মামলায় পলাতক সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ

ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের দক্ষিন খাসেবাড়ী মোস্তাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ পিতার- …