প্রচ্ছদ / প্রচ্ছদ / “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাম সংগঠনগুলোর অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে”

“জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাম সংগঠনগুলোর অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে”

মোঃ মিনহাজুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।

ছাত্র ফেডারেশন,ছাত্র মৈত্রী,ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট -জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই চারটি বাম ধারার সংগঠন রয়েছে।বিপ্লবী আদর্শের কথা বললেও সংগঠনগুলোর নেই ভালো কর্মী। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথেও নেই তেমন কোনো সম্পৃক্ততা।বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করলেও তার তেমন কোন প্রভাব পড়তে দেখা যায় না। এমনকি তাদের কর্মসূচিতে উপস্থিতির সংখ্যাও বেশ হতাশাজনক।বাম দলগুলোর এমন দুরবস্থা চলছে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এমন বাস্তবতার কারণ হিসেবে এসব সংগঠনের নেতারা বলছেন আদর্শিক জায়গায় তাদের প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থন আছে।কিন্তু ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ভয়ে তারা তা ঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছে, “ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি হতে শুরু করে ক্যান্টিনের খাবারের দাম কমানো,যৌন নির্যাতন বন্ধ,সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ,নতুন ক্যাম্পাস দ্রুত নির্মাণ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে এসব সংগঠন ক্যাম্পাসে বা রাজপথে আন্দোলন করে আসছে।কিন্তু তাদের এসব কর্মসূচি সাধারণ শিক্ষার্থীদের খুব একটা স্পর্শ করতে পারেনি।এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপর এসব আন্দোলন ও দাবি-দাওয়া তেমন প্রভাব ফেলেনি।”

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্কসবাদী) পঞ্চম সম্মেলনের মাধ্যমে প্রসেনজিৎ কুমার কে সভাপতি ও অনিমেষ রায়কে সাধারণ সম্পাদক করে ১ বছর মেয়াদী ১২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়।

প্রসেনজিৎ কুমার বলেন,”আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আগ থেকেই কাজ করে আসছি।এর মধ্যে ক্যান্টিনে ২০ টাকায় মানসম্মত খাবার পরিবহন ব্যবস্থা এবং ২০২০ সালের মধ্যে ছাত্রদের জন্য ১০ টি ও ছাত্রীদের জন্য ৫টি আবাসিক হল নির্মাণের আন্দোলন রয়েছে।”
কর্মী কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলেন,”আমরা ব্যক্তিগত কোন স্বার্থে রাজনীতি করি না। ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের ভয়ে অনেকে আমাদের সংগঠনে আসতে চায় না। এছাড়াও ইদানীং রাজনীতির প্রতি শিক্ষার্থীদের একটা অনীহা তৈরি হয়েছে।এটাও কর্মী কম হওয়ার একটি কারণ।”

গত বছর ১১ অক্টোবর জবি ছাত্র ইউনিয়নের ১৯ সদস্যের কমিটি করা হয়। তাতে চারুকলা বিভাগের মিফতাহ আল ইহসান তুর্যকে সভাপতি ও অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের এম এন জুনায়েদকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এম এন জুনায়েদ বলেন,”আমরা বিভিন্ন ব্যানারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ(জকসু) নিয়ে কাজ করছি।এছাড়া দেশের সমসাময়িক যে কোনো ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করে আসছি।তবে আমাদের জনশক্তি কত তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।”

এদিকে ফেব্রুয়ারি ১৩ তারিখে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পঞ্চম সম্মেলনে ১২ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়।তাতে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মোনায়েম হোসেন মুন্নাকে সভাপতি ও ফিন্যান্স বিভাগের তানজিম সাকিবকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

মোনায়েম হোসেন মুন্না বলেন,”ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকা ও ক্ষমতাসীন সংগঠনের হুমকি-ধামকির কারণে আমাদের সংগঠনের কর্মী কম।অনেক সময় আমাদের আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন থাকা সত্ত্বেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে ভয় পায়।”

উল্লেখ্য যে,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য শুধুমাত্র বামধারার সংগঠনগুলোই দীর্ঘদিন ধরে দাবি-দাওয়া পেশ করে আসছে।এক্ষেত্রে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টকে বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়।তবে দুঃখজনকভাবে এসব আন্দোলনে উপস্থিতির সংখ্যা একেবারে কম হওয়ায় এসব আন্দোলন সফলতার মুখ দেখছে না।ফলে,জবি শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কার্যকর আন্দোলন করা দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

এছাড়াও চেক করুন

রাজনৈতিক মামলায় পলাতক সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ

ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের দক্ষিন খাসেবাড়ী মোস্তাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ পিতার- …