জবি সংবাদদাতাঃ
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শীঘ্রই স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শেষ (৮ম) সেমিস্টারের পরীক্ষা আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন এই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাদেরকে পরবর্তী সাপ্তাহে আবার এই বিষয়ে যোগাযোগ করতে বলেছেন।
শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, করোনাভাইরাসে গত ১৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধের পূর্বেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শেষ হয়ে এখন ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ইংরেজি, গনিত, আইন বিভাগসহ যেসব বিভাগের ৮ম সেমিস্টারের পরীক্ষা এখনো শুরু হয় নি এবং কিছু বিভাগের শুরু হয়েও করোনায় বন্ধের ফলে কিছু কোর্সের পরীক্ষা এখনো বাকী রয়েছে ফলে এইসব বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষার্থীরা প্রায় ১ বছরের সেশন জটের মুখামুখি হচ্ছেন। এমনকি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাত্র ১টি কোর্সের পরীক্ষা করোনার বন্ধের মাঝে পড়ে যাওয়ায় তারাও এই সেশন জটের স্বীকার হচ্ছেন।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, মহামারী করোনার এইসময়ে দেশের প্রায় সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চললেও বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই সাথে বন্ধ রয়েছে তাদের স্নাতক শেষ বর্ষের শেষ সেমিস্টারের পরীক্ষা। ইতিমধ্যেই সেশন জটে স্নাতক পর্যায়ে অতিরিক্ত এক বছর ব্যায় হয়েছে তাদের। তাছাড়া, এই শিক্ষাবর্ষের যারা দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষায় মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার সুযোগ পেয়েছেন স্নাতক শেষ করতে তাদের ব্যায় অতিরিক্ত দুই বছর। নিম্ন আর মধ্যবিত্ত পরিবারের হওয়ায় চাকুরী করা তাদের জন্য অত্যাবশ্যক কিন্ত স্নাতক শেষ সেমিস্টারের পরীক্ষা না হওয়ায় তারা চাকুরীতে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন না। তাছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও বন্ধ নেই সরকারি-বেসরকারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তাই তারা তাদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ছেন। তাড়াতাড়ি যাতে শেষ সেমিস্টারের পরীক্ষার আয়োজন করা হয় তার ফাবী জানিয়েছেন শিক্ষার্থীর।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, যেসব বিভাগের অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ভাইবা, থিসিস, সাপ্লিমেন্টারীর মতো ছোট-ছোট ইস্যুর জন্য পরীক্ষা অসম্পূর্ণ ছিলো তাদের সেগুলো সম্পুর্ন করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷ তবে যেহেতু অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধের ঘোষণা এসেছে সেহেতু এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে সরকারের সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলতে হবে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে গণিত বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এইচ এম শাহীন বলেন, সামান্য কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষার জন্য আমরা প্রায় ১ বছর পিছিয়ে যাচ্ছি। শেষ সেমিস্টারের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ার কারণে চাকুরী সহ বিভিন্ন সুযোগ থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। শীঘ্রই পরীক্ষা আয়োজনের জন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে
৬ মন্তব্য
Pingback: main site
Pingback: horren kiepraam
Pingback: Buy glock 17 usa for sale
Pingback: Go X app
Pingback: กายภาพบำบัด ใกล้ฉัน
Pingback: elephant sanctuary chiang mai