এম ডি সাইফুল্লাহ, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও জেলায় তেল পাম্প মালিকেরা পূর্ব কোন নির্দেশনা ছাড়ায় হঠাৎ বন্ধ করে দিয়েছে পেট্রোল পাম্প গুলো। এতে দুর্ভোগে পরেছে সকল ইঞ্জিনচালিত যানবাহন। সেই সাথে দুর্ভোগে পরেছে সাধারণ জনগণ। বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ১৫ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন পেট্রোল পাম্প-মালিক ও শ্রমিকরা। ঠাকুরগাঁও জেলায় বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ১৫ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন পেট্রোল পাম্প-মালিক ও শ্রমিকরা। সকাল থেকে ঠাকুরগাঁও জেলায় ৩২টি পেট্রোল পাম্প বন্ধ রয়েছে। পাম্পগুলোতে মোটরসাইকেল চালকসহ বিভিন্ন পরিবহনের চালকরা পেট্রোল নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। হঠাৎ করে এমন কর্মসূচিতে দুর্ভোগে পড়েছে বিভিন্ন পরিবহনের চালকসহ সাধারণ যাত্রীরা। নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে যতটুকু তেল প্রয়োজন না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চালকসহ সাধারণ যাত্রীরা। তারা অভিযোগ করে বলেন কয়েকদিন আগেও পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের পর আবার পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে তাদের। তারা মনে করেন, সরকার ও সাধারণ মানুষ পরিবহন সেক্টরের কাছে জিম্মি। এদিকে পেট্রোল পাম্প ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক,জাহিদুল ইসলাম জানান, ১৫ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী তাদের এই কর্মবিরতি চলবেন ।
ঠাকুরগাঁওয়ে রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই পেট্রোল পাম্পগুলোতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও নার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের ডাকা ধর্মঘটে সাড়া দিতে বন্ধ রাখা হয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলার ৫ উপজেলার ৩২টি পাম্পের জ্বালানি পেট্রোল সরবরাহ। ধর্মঘটের ফলে একদিকে যেমন পেট্রোল নিতে না পেরে গাড়িচালকরা বিপাকে পড়েছেন। অন্যদিকে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরাও। ধর্মঘট চলমান থাকলে ঠাকুরগাঁও জেলার সাথে রংপুর বিভাগের জেলার যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার আশংকা দেখছেন গাড়িচালকেরা। এছাড়াও বোরো মৌসুম ও শীতকালীন সবজি চাষের এই সময়ে জ্বালানি তেল না পেলে জমিতে সেচ কাজ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তবে বিভিন্ন হাট-বাজারে খুচরা বিক্রেতাদের জ্বালানী পেট্রোল বিক্রি করতে দেখা গেছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ১৫ দফা দাবিতে এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। দাবিগুলো হচ্ছে- জ্বালানি তেল বিক্রির ক্ষেত্রে প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের কমিশন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নাকি পরিবেশক পরিশোধ করবেন তা সুনির্দিষ্ট করা, পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণের প্রথা বাতিল করা, পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণের প্রথা বাতিল করা ইত্যাদি। ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার রোড কলেজের সামনের কাদের ফিলিং স্টেশনের মালিক আব্দুল কাদের মুঠোফোনে জানান, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী এ ধর্মঘট। এটি কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত। দাবি না মানা পর্যন্ত তেল বিক্রি বন্ধ থাকবে। কেন্দ্রের নির্দেশনা পেলে আবারও তেল বিক্রি শুরু হবে। কমিশন বৃদ্ধি,মহাসড়কে পুলিশ হয়রানিলাইসেন্স জটিলতা সহ ১৫ দফা দাবিতে নাটোরের ২৬টি পেট্রোল পাম্পে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। ভোর থেকে পাম্প গুলোতে তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয় জালানি তেল ব্যবসায়ীরা। এর ফলে ফিলিং স্টেশন গুলোতে গিয়ে ফিরে যেতে হয় অনেক যানবাহনকে। পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনর রাজশাহী বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পিকে জানান, দাবি আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার আবেদন করে কোন ফল না হওয়ায় পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন ও ট্যাংকলড়ি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ যৌথ ভাবে রাজশাহী,রংপুর ও খুলনা বিভাগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১ ডিসেম্বর রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে
৭ মন্তব্য
Pingback: อุปกรณ์ขนย้าย
Pingback: pg168
Pingback: แทงหวย 365 เว็บแทงหวยออนไลน์
Pingback: เช็คสลิปโอนเงิน
Pingback: อาหารเสริม
Pingback: BETFLIX
Pingback: Jammin Jars spielen