নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইংরেজি বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র তৌকির মাহফুজ মাসুদের ছাত্রত্ব চলে গেছে তৃতীয় বর্ষেই।
সে ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের স্নাতক সম্মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, তৌকির মাহফুজ মাসুদ প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় সিজিপিএ ২.২৯ নম্বর পায় ও ১০৬ নম্বর কোর্সে অকৃতকার্য হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষে সিজিপিএ পায় যথাক্রমে ২.৫৩ ও ২.২৮। তিন বর্ষ মিলিয়ে পায় ২.৩৭। অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী তৃতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজন ২.৫০ সিজিপিএ। পর্যাপ্ত ফলাফল না পাওয়ায় সে তৃতীয় বর্ষে অকৃতকার্য হয়। অধ্যাদেশ অনুযায়ী তৃতীয় বর্ষেই তার ছাত্রত্ব চলে গেছে।
তিনি ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হলেও স্নাতক চতুর্থবর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষা ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে দিয়েছেন।২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে চতুর্থ বর্ষ মান উন্নয়ন (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষা ২০১৮ সনে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু তৌকির মাহফুজ এ মান উন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। পরবর্তীতে সে বিশেষ মান উন্নয়নের জন্য আবেদন করলেও একাডেমিক কাউন্সিলে তা গৃহীত হয়নি।
অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী কোন শিক্ষার্থী মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলে, সে আর মানোন্নয়ন পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে পারবেনা।
সিএন নিউজ এ গত বছরের ২৪ নভেম্বর ‘প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি, নয় বছরেও শেষ হয়নি স্নাতক’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৭ নভেম্বর বিষয়টির সত্যাসত্য যাচাইয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশীদ আসকারী তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার-২০১৩ এর সংশোধিত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
এতে ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ইংরেজি বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার সংশোধিত ফলাফলে তৌকির মাহফুজ অনুত্তীর্ণ হয়েছেন বলে ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। তার রোল ১০১০১০৯। এ ছাড়াও এই শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী না হয়েও শ্রবণ প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সাইদুজ্জামান বলেন, ফলাফলের এ ভুলটি বিভাগীয় পরীক্ষা কমিটি এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের কারো চোখেই পড়েনি। ভুলক্রমে তৃতীয়বর্ষের ফলাফলে অকৃতকার্য হওয়া সত্ত্বেও কৃতকার্য দেখানো হয়েছে। পরে বিভাগ তা সংশোধন করে দিলে আমরা চূড়ান্তভাবে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করি।
ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সালমা সুলতানা বলেন, অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী তার ছাত্রত্ব নেই। ভুলক্রমে রেজাল্টে অকৃতকার্য হওয়া সত্ত্বেও কৃতকার্য দেখানো হয়েছিল। বিভাগ তা সংশোধন করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম কখনোই তামাদি হবেনা। অনিয়ম যখনই দৃষ্টিগোচর হচ্ছে তখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে
৫ মন্তব্য
Pingback: หนังใหม่ออนไลน์
Pingback: joka casino casino bonus
Pingback: เว็บพนันออนไลน์เกาหลี
Pingback: ข่าว
Pingback: Buy Ketamine Anasket Powder online