নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ
দুর্নীতি যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে এই শব্দটির সাথে হারুন উর রশিদ আসকারীর নামটি যায়না, কোনভাবেই যায় না। এই সাড়ে তিন বছরে আমি এত ভালভাবে স্বচ্ছভাবে কাজ করে আসছি, এত সততার সাথে দক্ষতার সাথে কোন দিন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান।
কেন্দ্র ঘোষিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন উর রশিদ আসকারীকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ বরাবর পত্র প্রেরণ করছে।
শনিবার (৭ মার্চ) উপাচার্য অফিসে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নব নির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ড. রুহুল কুদ্দুস এম সালেহ ও সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা জামাল এর নেতৃত্বে নবগঠিত কমিটি এর প্রতিবাদ জানায়। এসময় উপ-উপাচার্য এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, অতীতে যতগুলো প্রশাসন আসছে সকল প্রশাসনের রেকর্ড ভেঙ্গে মাত্র সাড়ে তিন বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে সে উন্নয়নের বর্তমান প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তি আসকারী অনেক দূর এগিয়ে গেছেন। যা অতীতের সকল রেকর্ড শুধু ভঙ্গই করেনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে উচ্চতর জায়গায় নিয়ে গেছেন। এটা যদি তার অপরাধ হয় তবে বাংলাদেশে আর কোন মানুষ নাই যে মানুষটি তার সমান হতে পারে।
কোন নেতিবাচক উচ্চারণ, কোন শব্দ, কোন দুর্নীতির শব্দ যারা লিখেছে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কল্পনাপ্রসূত বিষয় উত্থাপন করেছে যা আমরা প্রত্যাখ্যান করি। দুর্নীতির একটা শব্দের সাথে তাকে দেখিনি আমি শাহিনুর রহমান সাক্ষী দিচ্ছি। যদি বলতেই হয় আমাদের সকলকে বলতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. কাজী আখতার হোসেন, শাপলা ফোরামের সভাপতি ড. রেজওয়ানুল ইসলাম ও সম্পাদক ড. মাহবুবর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা ড. সাইদুর রহমান, প্রক্টর ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের নবগঠিত কমিটি নেতৃবৃন্দ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচিত নবগঠিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ এর প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং পত্র প্রেরণকারীরাই দুর্নীতিবাজ বলে পাল্টা দাবি জানিয়েছে।
ড. মাহবুবুল আরফিন সূত্রে জানা যায়, ৬ মার্চ কেন্দ্র ঘোষিত ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের পক্ষে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন এর পক্ষে অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক স্বাক্ষরিত একটি পত্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো হয়।
পত্রে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা, অমান্য করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদ (শিক্ষক ইউনিট) নামে স্বঘোষিত কমিটির সাথে জড়িতরা কোনক্রমেই মুজিবাদর্শের সৈনিক হতে পারে না।এদের কার্যক্রম হীন উদ্দেশ্য এবং ব্যক্তি ও মহল স্বার্থ চরিতার্থ করা উদ্দেশ্য। এই মহলটি আপাদমস্তক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও সেচ্ছাচারিতায় নিমজ্জিত বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন উর রশিদ আসকারীকে রক্ষা করার এজেন্ডা দিয়ে মাঠে নামছে।
আরো বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ ঘোষিত কমিটিকে উপেক্ষা করে নতুন করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ এর নির্বাচন করায় এদের উচিত শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন। এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ নাম ব্যবহার করায় এদের সংগঠন থেকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়।
এসময় অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ড. মাহবুবুল আরফিন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছেন, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. আনোয়ারুল হক প্রভোস্ট থাকাকালীন দুর্নীতি করেছেন যা তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত, টিএসসিসির পরিচালক ড. মিজানুর রহমান শিক্ষক নিয়োগ, অনিয়ম, হলের প্রভোস্ট থাকাকালীন আর্থিক অনিয়ম ও টিএসসিসি পরিচালনায় ব্যর্থ এসব প্রমাণিত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আজকের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কর্মসূচি দিবে যে, কেন বর্তমান প্রশাসন দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা বলেন, ভিসির কোন অপরাধ নেই, অপরাধ একটাই আমার কথা মত চলছিসনা কেন। এ পর্যন্ত যত আওয়ামীপন্থী উপাচার্য আসছে সবাই আমার আঙুলের ইশারায় চলছে তুই এত কি হইছিস এটাই মূল জায়গা। উপাচার্য মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালর জন্য যা করার করবো যা ভালর সাথে থাকে তার থাকবে। উড়ো কথা বলে কারো ভাবমূর্তি নষ্ট করা যাবেনা। এই হঠকারী ও স্বার্থগত কিছু কারণে কোন উপাচার্য মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ক্ষমতার প্রতি আমার কোন মোহ নেই। আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগের যদি অর্ধেকও প্রমাণ করা যায় সাদা কাগজে ইস্তফা দিয়ে চলে যাবো।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে
One comment
Pingback: custom suit Bangkok