নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি ১৬ দফা দাবীতে কর্মবিরতি পালন করছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রশাসন ভবনের সামনে সকাল ১১ টা থেকে এক ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম আবেদনের (ভর্তি পরীক্ষা) যোগ্যতা থাকলেই ভর্তির ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে কর্মকর্তারা। অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত উপ-রেজিস্ট্রার বা সমমানদের বেতন স্কেল ৫০ হাজার টাকা (গ্রেড-৪), সহকারী রেজিস্ট্রার বা সমমানদের বেতন স্কেল ৩৫ হাজার ৫ শত টাকা(গ্রেড-৬), অফিস সময়সূচি পূর্বের ন্যায় সকাল ৮ টা হতে দুপুর ২ টা পর্যন্ত নির্ধারণ এবং চাকুরীর বয়সসীমা ৬০ বছরের পরিবর্তে ৬২ বছর বহাল।
নিয়োগ, পদোন্নতিসহ অন্যান্য দাবীর মধ্যে রয়েছে উপাচার্য পি.এস রেজাউল করিম রেজাকে সাময়িক বরখাস্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া। অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) জনাব মোঃ নওয়াব আলী খান-কে উক্ত পদ হতে অপসারণ করা এবং এস্টেট অফিসের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দ্রুত প্রকাশসহ দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মোঃ শামছুল ইসলাম জোহার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মীর মোঃ মোর্শেদুর রহমানের পরিচালনায় এসময় বক্তব্য প্রদান করেন যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ রাশিদুজ্জামান খান টুটুল, কোষাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল লতিফ, নির্বাহী সদস্য মোঃ গোলাম হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক ও মোঃ উকিল উদ্দিন। অন্যদিকে কর্মকর্তাদের একাংশ অফিসিয়াল কার্যক্রম সচল রেখেছেন বলে জানা যায়।
বুধবার পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১-১২ পর্যন্ত ১ ঘন্টা করে কর্মবিরতী চলবে। এতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সিদ্ধান্ত না নিলে আগামী সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন ২ ঘন্টা করে কর্মবিরতী চলবে। প্রয়োজনে লাগাতার কর্মবিরতীসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে কর্মকর্তা সমিতি সূত্রে জানা যায়।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মীর মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, কর্মবিরতির বিষয়টিকে আমি ভালো চোখে দেখছি না কারণ এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। ভিসি স্যার তাদের যথেষ্ট পরিমাণ সম্মান দেয় এবং এ বিষয়ে কথাবার্তা সেখানে হয় কিন্তু কথা বার্তা এক রকম হয় কিন্তু মাঠে ময়দানে বক্তৃতা দেয় আরেক রকম। তাদের যে কথাবার্তা সেটা আমাদের কাছে গ্রহণ যোগ্য নয়। তিনি আরো বলেন, আমরা কর্মবিরতিতে অংশ গ্রহণ করিনি, অফিসের নিয়মিত রুটিনের কাজ চালিয়ে গেছি।
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ বলেন, বেতন স্কেলের বিষয়টি নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে আংশিক অনুমোদন হয়েছে ঢালাওভাবে সবাই পাবেনা। যাদের মাস্টার্স ডিগ্রি আছে তারা পাবে। চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছরের বিষয়টি চ্যান্সেলর এর অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছি।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো ন্যায়সঙ্গত দাবী অতীতেও মানা হয়েছে ভবিষ্যতেও মানা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর ৩ দফা দাবিতে মৌনমিছিল করেছিল কর্মকর্তারা এবং ২০১৯ সালের ৩ মার্চ ৩ দিনব্যাপী কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিল তারা। এছাড়াও ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করেছিল তারা।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে
৯ মন্তব্য
Pingback: Pin-Up kazinosida haqiqiy pul yutib oling
Pingback: เลนส์บลูบล็อคออโต้
Pingback: yindee lotto เว็บหวย ไม่มีเลขอั้น
Pingback: Buy Villa Phuket
Pingback: หวย24 ออนไลน์ ที่ LSM99
Pingback: บาคาร่าเกาหลี
Pingback: 煙彈
Pingback: จำนำรถกรุงเทพ
Pingback: royal joker: hold and win