প্রচ্ছদ / ক্যাম্পাস / প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে ইবিতে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগের আন্দোলন

প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে ইবিতে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগের আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সদ্য যোগদান করা প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবর রহমানকে সরিয়ে অন্য কাউকে নিয়োগ দেয়ার দাবিতে আন্দোলন করছে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও বিদ্রোহীদলের নেতারা।

আন্দোলন স্বরুপ রবিবার দুপুরে ছাত্রলীগের দলীয় টেন্ট হতে মাসুদ, লালন, জোবায়ের, আরাফাত এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।উপাচার্যের কাছে অন্য কাউকে প্রক্টর নিয়োগ দেয়ার দাবি জানায় তারা। পরে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। প্রধান ফটক বন্ধের কারণে কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ রাস্তায় বাস চলাচল করেনি, এতে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

ছাত্রলীগের বিদ্রোহীদলের নেতাদের অভিযোগ ২০১৪ সালে ছাত্রলীগের উপর গুলি চালানোর হুকুম দিয়েছিলেন ড. মাহবুব এবং তিনি নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত।

রেজিস্ট্রার সূত্রে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আনিছুর রহমান এর আবেদনের প্রেক্ষিতে অব্যবহিত দিয়ে মাহবুবর রহমানকে ৮ সেপ্টেম্বর নিয়োগ দেন উপাচার্য। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তখন তিনি যোগদান করেননি। ৭ দিনের মধ্যে ক্যাম্পাস মাদক, অছাত্র ও অবৈধ ছাত্রমুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে গতকাল শনিবার মাহবুবর রহমান তৃতীয়বারের মত প্রক্টর হিসেবে যোগদান করেন।যোগদান করার সাথে সাথেই ছাত্রলীগের বিদ্রোহীদলের নেতারা তাকে সরিয়ে অন্য কাউকে প্রক্টর নিয়োগ দেয়ার দাবি জানায় উপাচার্যের কাছে।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট, ছাত্র উপদেষ্টা ও দুই মেয়াদে প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রক্টর মাহবুবর রহমান বলেন, প্রশাসনের অনুরোধে ক্যাম্পাসকে ৭দিনে মাদক, অছাত্র ও অবৈধছাত্র মুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে স্বল্পমেয়াদী পুনঃপ্রক্টরের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। ইবি পরিবার না চাইলে এক মূহুর্ত আমি দায়িত্ব পালন করবো না।

উপাচার্য ড. রাশিদ আসকারী বলেন, প্রক্টরকে আমরা পূর্ণকালীন মেয়াদে নিয়োগ দেইনি, অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে অভিযুক্ত বলা ঠিক হবে না। যদি তারঁ বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তাঁকে শুধু প্রক্টর পদ থেকে নয় চাকুরী থেকেও অব্যহতি দেয়া হবে।

এছাড়াও চেক করুন

রাজনৈতিক মামলায় পলাতক সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ

ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের দক্ষিন খাসেবাড়ী মোস্তাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ পিতার- …