প্রচ্ছদ / প্রচ্ছদ / প্রতিকার জরুরী নাকি প্রতিরোধ?

প্রতিকার জরুরী নাকি প্রতিরোধ?

সাজেদুর আবেদীন শান্তঃ

প্রতিকার হলো – কোন অসুখ, ঝামেলা, সমস্যা ইত্যাদি হয়ে যাওয়ার পর তা সুস্থ, মুক্ত বা সমাধান করার প্রক্রিয়া। আর প্রতিরোধ হলো উক্ত অসুখ, ঝামেলা, সমস্যা যাতে তৈরিই না হয় তার পদক্ষেপ নিয়ে তা খুবই সতর্কতার সাথে মোকাবেলা করা ।আর আমার মতে অবশ্যই প্রতিরোধ ব্যবস্থাই সর্বোত্তম।
বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাস এখন একটি আতংক। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পরেছে করোনা ভাইরাস। এপর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ১১,৪১৭ জন ,আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬২ জন। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। আক্রান্ত হয়েছ ২০ জন। সরকার ইতোমধ্যেই করোনা মোকাবেলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে ২টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন।মাদরিপুরের শিবচর এলাকাকে করা হয়েছে পুরো লকডাউন।

তবে আমরা কতটুকু সচেতন? বিদেশ ফেরতদের থাকতে বলা হচ্ছে কোয়ারেন্টাইনে। কিন্তু আমরা কি থাকছি কোয়ারেন্টাইনে? কেনো আমাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার এতো অনিহা? বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম কেনো আমরা মেনে চলছি না?
মিরপুর এলাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখলাম, যেখানে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে সেখানে আমরা তা না করে অবাধে ঘুড়ে বেড়াচ্ছি। অধিকাংশ মানুষ মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকেই ঝুকিপুর্ণ ভাবে ঘুড়ে বেরাচ্ছে। বাজারে একটি বয়স্ক লোকের সাথে কথা বললে এ সম্পর্কে তিনি বলেন আল্লার মাল আল্লাহ নিবে? তাহলে কি আমরা কোনো প্রতিরোধ ব্যাবস্থা না নিয়ে অপেক্ষা করবো মৃত্যুর জন্য।
করোনা এখন একটি বিশ্বব্যাপি মহামারী। প্রতিকারের চেয়ে দরকার এখন প্রতিরোধ। আমাদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে নিয়মিত।
বিশেষজ্ঞরা মতে সাধারণ কিছু সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
এসব সতর্কতা অবলম্বন করলে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এ সতর্কতাগুলো কী? সেগুলো তুলে ধরা হলো।
১. গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে হবে।
২. যেসব জায়গায় মানুষ বেশি জড়ো হয় সেসব স্থান এড়িয়ে চলতে হবে ।
৩. সাবান পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে।
৪. জরুরী প্রয়োজনে বাহিরে বের হলে মাস্ক ব্যাবহার করতে হবে।
৫. যেখানে সেখানে কফ- থুথু ফেলা যাবে না।
৬. হাচি কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু, রুমাল অথবা হাতের কনুই ব্যাবহার করতে হবে।
৭. বাসার লিফট ব্যাবহারের ক্ষেত্রে টিস্যু পেপার ব্যাবহার করে লিফটের বাটন ব্যাবহার করতে হবে।
১০. এটিএম থেকে টাকা তুলতে গেলে এটি এম মেশিনের বাটন অবশ্যই টিস্যু পেপার অথবা হ্যান্ড গ্লোভস ব্যাবহার করতে হবে।
সর্বোপরি উপরোক্ত নিয়ম মেনে চললে করোনা সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা খুব কম থাকবে। তাই এই মুহুর্তে আমাদের প্রতিকার করার চেয়ে প্রতিরোধ করটাই বেশি দরকারী । আতংকিত না হয়ে নিয়ম মেনে চলে সতর্ক থাকতে হবে।

সাজেদুর আবেদীন শান্ত
সম্পাদক,
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী
ইমেইলঃ mdsantosazedur@gmail.com

এছাড়াও চেক করুন

রাজনৈতিক মামলায় পলাতক সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ

ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের দক্ষিন খাসেবাড়ী মোস্তাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ পিতার- …