সিএন নিউজ২৪.কম।
স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেল আব্দুর রহমান নামের এক পাষণ্ড স্বামী। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন স্বামী। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ৪ ভাড়াটিয়া খুনির ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সিংগাইর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ থাকেন সিংগাইর উপজেলার বলধরা ইউনিয়নের খৈয়ামুড়ি গ্রামের আব্দুর রহমানের স্ত্রী, ২ সন্তানের জননী হাসিনা বেগম (৫০)।
পরিবারের সদস্যরা রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও ওই নারীর কোনো সন্ধান পাচ্ছিল না। পরদিন শনিবার সকালে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরের একটি ধানক্ষেত থেকে হাসিনা বেগমের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত হাসিনা বেগমের ছোট ভাই মেছের আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সিংগাইর থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দিনই নিহতের স্বামী আব্দুর রহমানকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে সে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে। গত রোববার মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম সারোয়ারের আদালতে আসামি আব্দুর রহমানকে হাজির করা হলে সে জানায়, খুন করে খুনের মামলায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে বিরোধপূর্ণ ৩০ শতাংশ জমি হাসিল করার উদ্দেশ্যে সে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করে। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী সে তার এলাকার আলমগীর হোসেনের মাধ্যমে আরো ৩ জনকে এই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে। ৫ শতাংশ জমি লিখে দেয়ার শর্তে ওই ৪ জন এই হত্যাকাণ্ডে রাজি হয়।
স্ত্রীকে হত্যার আগে খুনিরা আব্দুর রহমানকে তার ছেলের ঘরের ৮ বছরের নাতি শাওনকে হত্যার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তাদের এই প্রস্তাবে রহমান রাজি হয়নি। নাতি তার বংশের প্রদীপ, তাই সে নিজ স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং গলা কেটে হত্যা করে।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে

৩ মন্তব্য
Pingback: mega slot สล็อตได้เงินจริง
Pingback: เว็บปั้มไลค์
Pingback: ดูหนังออนไลน์ฟรี