নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ
মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মাইকে বাজানো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিদ্রোহী ও পদবঞ্চিত দলের নেতারা। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ উচ্চশব্দে মাইকে ধ্বনিত হওয়ায়, অবস্থান কর্মসূচির টিভি ফুটেজ নিতে সমস্যা হওয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বন্ধ করে রাখা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৪ মার্চ) ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ এর পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির হস্তক্ষেপ কামনা করে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও বিদ্রোহী দলের নেতারা এ কর্মসূচি পালন করে। দুপুর আড়াইটার দিকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বন্ধ করা হয় বলে জানা গেছে।
মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব রাশিদুজ্জামান খান টুটুল বলেন, ঐ সময় ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম হচ্ছিল, ওনারা বক্তব্য দিচ্ছিলেন। ওনারা আমার কাছে রিং করছিলেন। ওনাদের বোধহয় টিভি ফুটেজ নিবে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ জোরে বাজছিল, ফুটেজে সমস্যা হচ্ছিল। ১০ মিনিটের জন্য বন্ধ ছিল, পরে আবার চালু করা হয়েছে। আধঘন্টার বেশি বন্ধ রাখা হয়েছে বলে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমার জানা নেই।
এস্টেট অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ”লালন ও মাসুদ দুজনেই এসে বলেছে মাইক বাজাচ্ছে কারা! সেখানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ কাদের আন্ডারে! পরে আমি বলেছি এটা আমার আন্ডারে নয়, সম্ভবত জনসংযোগ বাজাচ্ছে। পরে ওরা চলে গেল, যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাইক বন্ধ হয়ে গেছে।
মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, কারো অনুমতি ব্যাতিরেকে মাইক বন্ধ করা এটি গর্হিত কাজ করেছে। আমি মনে করি এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এটি বন্ধ করা হয়নি, কারা বন্ধ করলো এ বিষয়ে খোঁজ নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, জাতির পিতার ভাষণ কেউ বন্ধ করতে চাইলে, বন্ধ করার বা বন্ধ করতে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ এটা হচ্ছে পবিত্রতম মাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ যা সবসময় চলমান থাকবে। কেউ বাঁধা দিলে সেটা জাতির পিতার ভাষণকে অসম্মান করা হবে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এখানে সব সময় বাজানোর আমাদের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত আছে। বিষয়টি আমার কানে এসেছে। কারণ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বন্ধ করে কিছুই হওয়া উচিত নয়। এটা আমাদের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। এখন আমাদের কর্তৃপক্ষ এটা বন্ধ করেনি, করলে আমার নির্দেশেই হতো, আমাকেই বলতো। এটা যদি কেউ বন্ধ করে থাকে তবে এটা অসঙ্গত। কোনোভাবেই বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বন্ধ করতে পারে না কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া। এটা কিভাবে বন্ধ হলো? কেন বন্ধ হলো? কারা বন্ধ করলো? খতিয়ে দেখে আমি ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের বিদ্রোহী ও পদবঞ্চিত দলের নেতা তৌকির মাহফুজ মাসুদ ও মিজানুর রহমান লালনকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে