এস আই ইমরান, সিএন নিউজ২৪.কম।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেছেন, আমি সংসদ নেতার কাছে আহবান জানাবো আপনি একবার এসে দেখে যান, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কি অবস্থায় আছেন। আমি নিশ্চিত যে আপনার ভেতরে মানবতাবোধ জাগ্রত হবে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমলাতান্ত্রিকভাবে না দেখে আপনি জামিনের ব্যবস্থা করেন।
আজ বুধবার (০২ অক্টোবর) বিকালে শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন দলীয় চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সিরাজ বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) কারো সাহায্য ছাড়া খেতে পারছেন না, হাটতে পারছেন না। এখানে তার কোনো চিকিৎসা হচ্ছে না। অবিলম্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা বিশেষায়িত হাসপাতালে তার চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া ম্যাডামের মুক্তি হবে না। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আবার বলছি সংসদের নেতা হিসেবে আপনার কাছে আমার সবিনয় অনুরোধ আপনি ম্যাডামের জামিনের ব্যবস্থা করুন।
জামিনের বিষয়টা আদালতের তো আপনারা মানবিক বিষয় হিসেবে কেন দেখছেন? উপস্থিত সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিরাজ বলেন, এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া কি হবে? আজকে হাইকোর্ট-সুপ্রীমকোর্ট বিব্রত বোধ করেন।
মুক্তির বিষয়ে খালেদা জিয়া কি বলেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া অবশ্যই মুক্তি চান। তিনি অপরাধ করেননি। তবুও বন্দি আছেন অবশ্যই মুক্তি চান।
চিকিৎসার ব্যাপারে তার বক্তব্য তিনি বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সেখানে বিদেশে চিকিৎসার কথা আসছে কেন। তিনি মুক্তির পরে সিদ্ধান্ত নেবেন দেশে নাকি বিদেশে চিকিৎসা নেবেন। আগেতো মুক্তি দরকার। তিনিতো সহসা বিদেশে চিকিৎসা নিতে চান না। এর আগেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নাম বলা হয়েছে। সেই নিজস্ব ডাক্তারের চিকিৎসা নিতেও দেয়া হয়নি। বিদেশে যদি যাওয়া লাগে যাবেন। সেটা ওনার নিজের সিদ্ধান্ত-পরিবারের সিদ্ধান্ত। সেটাতো আমরা বলতে পারি না।
এসময় রুমিন ফারহানা এমপি বলেন, ম্যাডাম বলেছেন জামিন আমার হক। দেশের আইন অনুযায়ী আমি জামিন লাভের যোগ্য। আমিতো কোনো অপরাধ করিনি। সুতরাং এখানে প্যারোলের প্রশ্ন কেন আসবে? তিনি বলেন, প্যারোলের কোনা কথাই হয়নি। উনি কোনো অপরাধ করেননি।
যে টাকার কথা বলা হয়েছে সে টাকা বেড়ে ৬কোটি হয়েছে। রুমিন ফারহানা বলেন, আমি দীর্ঘ সময় আদালতে কাজ করছি। এ ধরণের মামলায় একটি আবেদনে জামিন হয়ে যায়। সেখানে আজকে ১৮ মাসের ওপরে এরকম শারিরীক অবস্থায় উনি কারাগারে আছেন। ওনাকে পরিকল্পিতভাবে আটকে রাখা হয়েছে। আজকে তার এই শারিরীক অবস্থার জন্যে সরকার দায়ী। তাকে কোনো রকমের সুচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। তার অবস্থা যেটা হয়েছে তিনি কোনো কাজ করতে পারেন না। সেজন্য সম্পূর্ণরূপে সরকারই দায়ী। এসময় তাদের সঙ্গে ছিলেন মোশাররফ হোসেন এমপি ও জাহিদুর রহমান এমপি।
এর আগে বেলা তিনটার দিকে বিএনপি দলীয় চার এমপি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করতে হাসপাতালে প্রবেশ করেন। তারা চারটার কিছু আগে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আসেন।
হাসপাতালের বাইরে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি ফজলুল রহমান খোকন।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে

৬ মন্তব্য
Pingback: สล็อตเกาหลี
Pingback: เน็ตบ้าน ais
Pingback: 1xslots argentina
Pingback: vegasnow online casino
Pingback: casinozeusonline retirar en PayPal
Pingback: ตรายางออนไลน์