মিনহাজুল ইসলাম ।
বৈশ্বিক এই করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে খারাপ দিকে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। ঠিক সে সময় দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি গার্মেন্টস এর মত রপ্তানিমুখী পণ্যের প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের কতিপয় মুনাফালোভী স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ী মহল সুপার শপ খোলা রেখে, নিত্যপণ্যের বাজারের দোহাই দিয়ে সকল কর্মচারীদের জীবনকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে ।
যেখানে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলার জন্য রাস্তায় সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ বাহিনী নামানো হয়েছে সেখানে সুপার শপগুলো তাদের কর্মচারীদের ছুটি না দিয়ে চরম অবাধ্যতার পরিচয় দিয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের সম্ভাবনা রয়েছে। আর, কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা হচ্ছে রাজধানীর আগোরা, মিনা বাজার, স্বপ্ন, প্রিন্স বাজার ও ইউনিমার্ট এর মত সুপার শপ গুলো। অথচ এ সকল প্রতিষ্ঠানের মুনাফালোভী মালিকপক্ষ করোনা পরিস্থিতির এই চরম ঝুঁকির মধ্যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিস করতে বাধ্য করছে।এখানে কোনো একজন করোনা ভাইরাস বহনকারীর শরীর থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে পুরো এলাকা। সুপার শপগুলো সবচাইতে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা এজন্য যে, কোনো একজন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত লোক যদি সুপার শপ গুলোতে প্রবেশ করে তাহলে সে প্রথমে একটি ট্রলি বা বাস্কেট ধরছে। আর, এই ট্রলি বা বাস্কেট সুপার শপে কর্মরত কর্মচারীরা ধরছে। এরপর নতুন কোনো ক্রেতা এসে আবার ধরছে। সে বাড়িতে যাচ্ছে, বাড়ির পরিবারের সাথে মিশছে, স্টাফরা বাড়িতে যাচ্ছে, পরিবারের সাথে মিশছে! অজান্তেই হয়তো এভাবে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে যেতে পারে।
কাজেই, এ সকল সুপারশপে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বাস্থ্যঝুঁকির দিক বিবেচনা করে তাদের পরিপূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। অথবা অতিসত্বর সুপার শপ গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হোক। নতুবা অচিরেই ইউরোপ-আমেরিকার মতো পরিস্থিতি বরণ করতে হতে পারে এই হতভাগ্য জাতিকে।
লেখক:
তোফায়েল মাহমুদ তুফান।
ভাইস চেয়ারম্যান,
নড়াইল সদর উপজেলা।
এবং
সাবেক সভাপতি,
নড়াইল জেলা ছাত্রলীগ।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে
