
ইরাক হতে নোমান হোসাইন ও আমিনুল ইসলামঃ
বর্তমান মহামারি করোনার কারনে লকডাউন। লক ডাউনের কারণে কোম্পানির কারখানা বন্ধ, কর্মী ছাটাই , রুমে বন্দি জীবন, না বেতন না দিচ্ছে খাওয়ার টাকা। নিজে চলার পয়সাও নেই। সবসময় করোনা আতঙ্ক, তার সাথে সব সময় ভিসা ,আকামা না থাকায় পুলিশের ভয় ।নিজে মারা গেলে লাশ দেশে যাবে কিনা তা নিয়ে সব সময় সন্দেহ । অন্যদিকে কোন প্রিয়জনের মৃত্যুতে দেশে যাবার সুযোগটাও নেই কারণ নিরাপত্তার জন্য ফ্লাইট বন্ধ। প্রবাসীরা ক’দিন আগে নিজ দেশের বোঝা হলেও এখন নিজেই নিজের কাছে বোঝা! নিজেই চলতে হিমশিম খায়। প্রবাসীর ক্লান্তিমাখা ও অসুস্থ শরীরটা এখানে থাকলেও মনটা ঠিকই পড়ে থাকে মাতৃভূমিতে পরিবারের কাছে। প্রতিনিয়ত মনটা কাঁদে নিজ প্রিয়জনের জন্য। নিজ মাতৃভূমির জন্য।
সকল ইরাক প্রবাসীর বৈধতা কোন কাগজ নেই। ইরাকে এক লক্ষ ৯০ হাজার থেকে ২ লক্ষের অধিক লোক প্রবাসে আছে। যাদের ভিতরে আমার মনে হয় না, ১% লোক বৈধ আছে। বিগত চার মাস থেকে করোনা মহামারির কারণে আমাদের ইরাক প্রবাসী ৬০% উপরে লোক কর্মহারা। যেখানে থাকার কোন ব্যবস্থা নাই। অন্যান্য মিডিল ইস্টে ব্যক্তিগত রুম থাকে বা রুম ভাড়া করে থাকতে পারে। ইরাকে সে ব্যবস্থা নাই। সেজন্য ইরাক প্রবাসীরা যেমন কর্মহারা তেমন থাকার কোন ব্যবস্থা নাই। আমরা এম্বাসিতে কয়েদিন আগে লিখিত একটা চিঠি পাঠিয়েছিলাম। আমাদের প্রবাসী যারা এই মুহূর্তে কর্মহারা হওয়ায় থাকার ব্যবস্থা নেই। অন্তত পক্ষে এমবাসির মাধ্যমে আমাদের থাকার ব্যবস্থা দেওয়ার জন্য আমরা এম্বাসিকে বিনীত অনুরোধ করছি। কিন্তু সরকার থেকে এবং আমাদের এম্বাসি থেকে কোন রকমের ভালো কোনো সিদ্ধান্ত পাই নাই এবং আরেকটা কথা না বললেই নয়, ইরাক থেকে দেশে একটা লাশ প্রেরণ করতে হলে ৫০০০ ডলার লাগে। এটা বাংলাদেশ ইরাক প্রবাসী সকলের দাবি। যেন অদূর ভবিষ্যৎ ইরাক থেকে প্রতিটি লাশ বাংলাদেশের সরকার নিজ খরচে দেশে নিয়ে যায়।
এই মুহূর্তে দুইটা লাশ হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে। এ লাশ গুলো যেন সরকার নিজ খরচে দেশে নিয়ে যান। এই প্রত্যাশার আশাবাদী।
এই মুহূর্তে দেশে যাওয়ার জন্য অনেকেই প্রস্তুত কিন্তু ফ্লাইট বন্ধ এবং আমাদের এম্বাসি থেকে একটা ফরম দিয়েছেন। যারা ফরম পূরণ করবে, তারা কিছুদিনের ভিতর দেশে যেতে পারবেন, তবে অনিশ্চিত খরচ বহন কে করবে। সরকার দিবে নাকি আমরা নিজেরা দিতে হবে। এই মুহূর্তে যারা যাচ্ছেন দেশ সবাই কর্মহারা লোক এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ। আমাদের আবারও আকুল আবেদন সরকার এবং এমবাসির মাধ্যমে বিবেচনা করে যে সকল প্রবাসীরা কর্মহারা দেশে যেতে চায় সরকারের সুদৃষ্টি বিবেচনায় স্বল্প খরচে যেহেতু কর্মহারা মানুষগুলো দেশে ফিরে যেতে পারে স্বল্প খরচে সেদিকে সু- দৃষ্টি রাখবেন। এই প্রত্যাশায় অঙ্গীকার করে বলছি আশা করি আমার ওপর বিষয়গুলো বিবেচনা করে দেখার জন্য অনুরোধ রইল।
বিনীত নিবেদক।
ইরাক প্রবাসী :নোমান হোসাইন।
ইরাক প্রবাসী: মোঃ আমিনুল ইসলাম।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে
৬ মন্তব্য
Pingback: แอพเช็คสลิปโอนเงิน
Pingback: AsterDex
Pingback: รับจด อย
Pingback: ศูนย์ดูแลผู้สูงอายุ
Pingback: Click Here
Pingback: clothing manufacturer