নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাংবাদপত্রকে ধারালো অস্ত্রের সাথে তুলনা করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী।
তিনি বলেন, শুধু আমাদের দেশে নয়, বিশ্বব্যাপী আজ সংবাদপত্র একটি অত্যন্ত ধারালো অস্ত্র। এ অস্ত্র যেমন ভালভাবে গণমানুষের স্বার্থের জন্য ব্যবহার করা যায়, ঠিক তেমনি বিঘ্ন ঘটানোর জন্যেও এ অস্ত্র ব্যবহার করা যায়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হলুদ সাংবাদিকতার বিরোধী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় প্রেস ক্লাব তৈরী করে গিয়েছেন। সেই প্রেস ক্লাব আজ তাঁরই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সর্বকালের সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটেয়েছেন। যার নির্মাণ কাজ চলমান।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে বর্তমানে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা সবচেয়ে বেশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোকদিবস ২০১৯ উপলক্ষ্যে “বঙ্গবন্ধু ও গণমাধ্যম” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. রাশিদ আসকারী এসব কথা বলেন।
তিনি বক্তব্যে আরো বলেন, গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এটি প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে এবং তার আগেও চোখ খুলে দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কেননা ২৩ বছরের গোলামীর শাসন ভেঙ্গে তিনি স্বাধীনতার সূর্ষ উদয়ে যে কার্যকর ভূমিকা রেখেছিলেন তার পেছনে প্রেরণা ছিল মানুষের বাক স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতার আরেক দিক হচ্ছে সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকতা এবং গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের একটি স্তম্ভ মনে করতেন। রাষ্ট্রের শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ এবং বিচার বিভাগ এই ৩টি স্তম্ভ সমান্তরাল ভাবে চলছে কিনা, তাদের পরস্পরের কর্ম সম্পাদনের মধ্যে কোন প্রকার সমন্বয় হীনতা রয়েছে কিনা সেটি নির্দেশ করার জন্য গণমাধ্যমকে আরেকটি স্তম্ভের মর্যাদা দিয়েছিলেন তিনি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফেরদাউসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য-সচিব, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত তিমির।
জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর কালো ব্যাজ ধারণ এবং জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনার ফাঁকে-ফাঁকে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর জীবনীর উপর ডকোমেন্টরি এবং বদলে যাওয়া ইবির প্রামাণ্য ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে

৪ মন্তব্য
Pingback: online platform
Pingback: หาแม่บ้าน
Pingback: ระบบเทรด ea forex
Pingback: บริษัทรับสร้างบ้าน