প্রচ্ছদ / প্রচ্ছদ / ‘স্মৃতি’ মিজানুর রহমান সুজনের কবিতা

‘স্মৃতি’ মিজানুর রহমান সুজনের কবিতা

স্মৃতি
মিজানুর রহমান সুজন
———————————-
তোমার মনে আছে কিনা জানিনা।
যেদিন আমাদের প্রথম পরিচয় হয়েছিলো
সেদিন তুমি আমাকে আপনি বলেই ডেকেছিলে।
তোমার মুখে আপনি ডাক শোনে ভেবেছিলাম
বয়সে তুমি হয়তো আমার চেয়ে ছোটই হবে।
তাই অতটা ঘায়ে না মেখে তোমাকে আমি তুমি করেই বলতাম।
আচ্ছা তৃপ্তি, তুমি কি ভুলে গেছো
আমাদের প্রথম পরিচয়ের সেই মুহূর্ত গুলোর কথা?
নাহ! আমার বিশ্বাস তুমি তা ভুলতে পারনি।
তখনকার প্রতিটা মুহূর্ত কেমন জানি অস্থির অস্থির লাগতো।
কারণে অকারণে তোমার সাথে কথা বলতে মনটা ব্যাকুল হয়ে থাকতো।
খেতে বসে, পড়ার টেবিলে, কাজের ফাঁকে
এমনকি রাত জেগেও আমাদের কত্তো কথা হতো।
সত্যিই খুব আশ্চর্য! বয়সে তুমি আমার চেয়ে বড় হওয়া সত্ত্বেও
মাত্র কয়েকদিনে আমাদের একে-অপরের মনে ভালোবাসার কুড়ি জন্মেছিলো।
আমি চাইতাম তোমার মুখেই আমাদের ভালোবাসা প্রকাশ পাক।
কিন্তু তুমি তো জানো, অপেক্ষা বিষয়টা আমাকে দিয়ে তেমন সম্ভব নয়।
তাই হঠাৎ একদিন বলেই দিয়েছিলাম, ‘ভালোবাসি’।
আমার মুখে ভালোবাসার কথা শুনে তুমি কি হাসিই না হেসেছিলে।
কিন্তু তোমার সেই হাসিতে, বাকি সবার মতো আমি কোন উপহাস খোঁজে পাইনি।
বরং তোমার হাসি আমার কাছে এসে
আমার কানেকানে জানিয়ে গেছে, ‘এই তো চেয়েছিলাম’।
তোমার বাস্তববাদী মানসিকতাই
আমার ভালোবাসার প্রতত্তোর পাওয়াকে এতটা দীর্ঘায়িত করেছিলো।
সেদিন রাতে তোমার ওখানে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল।
বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে ফোনের এপাশ থেকে প্রথমবার কিছুই বুঝতে পারিনি।
তারপর ঘর থেকে দূরে নির্জন কোথাও গিয়ে
জানিয়েছিলে তোমার ভালোবাসার কথা।
তোমার মুখে ভালোবাসার কথা শুনে মনে হয়েছিলো
আমার জীবন কবিতার প্রতিটা শব্দই বুঝি অর্থ খোঁজে পেল।
বিশ্বাস করো তৃপ্তি, আমার জীবন আজও অর্থ খোঁজে।
পৃথিবীর কাছে চিৎকার করে প্রশ্ন করে, কষ্ট কাকে বলে?
শুকনো নদী আমার প্রশ্নের উত্তরে বলে, ‘অতীত শ্রাবণের সেই জলভরা
যৌবনের স্মৃতিই আজ কষ্ট’।
খাঁচায় বন্দি পাখি আমাকে জবাব দেয়, ‘মুক্ত আকাশে ডানা মেলার সেই
সুনালী অতীতই আমার কাছে দুঃখ’।
তৃপ্তি, এই যে এখন তুমি আমার পাশে নেই।
বিশ্বাস করো এর নাম কষ্ট নয়।
অথচ সেই যে তুমি ছিলে, সেই অতীতটাই আজ আমার কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এখন আমি বুঝি গেছি কষ্ট কাকে বলে।
সুখ যখন অতীতের ফ্রেমে বন্দি হয়ে সামনে এসে দাঁড়ায়
তখন সুখময় স্মৃতি গুলোই হয়ে উঠে কষ্টের অনল।

এছাড়াও চেক করুন

রাজনৈতিক মামলায় পলাতক সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ

ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের দক্ষিন খাসেবাড়ী মোস্তাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ পিতার- …