প্রচ্ছদ / ক্যাম্পাস / ইবিতে মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ, ২২ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

ইবিতে মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ, ২২ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবীতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে ২২ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

প্রযুক্তি ও প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলাম ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মনকে জিম্মি করে রাখার কারণে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যায়। বুধবার ভোর সাড়ে চারটায় পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে ডিন অফিসের গেটে তালা লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।

 

এতে অফিসের ভেতরে আটকা পড়েন অফিস সহকারী আবদুল মমিন ও পিয়ন বাদল। রাত ৯টায় অবরুদ্ধ দুই কর্মচারীদেরকে উদ্ধার করতে আসেন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মমতাজুল ইসলাম ও ছাত্র-উপদেষ্টা ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ। তারা ভবনের ভেতরে ঢুকলে তাদেরকেও অবরুদ্ধ করে আন্দোলনকারীরা।

পরে ডিন ও ছাত্র উপদেষ্টাকে উদ্ধার করতে রাত ১টার দিকে সাবেক প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আনিছুর রহমান ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর আহসান-উল হক আম্বিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা রাত ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমঝোতা করতে ব্যর্থ হন।

এর আগে রাত সাড়ে ১১টা থেকে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পরে সাড়ে ৪টার দিকে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত ডিএসবি মোস্তাক, ডিএসবি মোস্তাফিজুর রহমান, মিরপুর জোনের এএসপি ফারজানা ইসলাম এবং ইবি থানার ওসি রতন শেখের নেতৃত্বে কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। ভেতরে ঢুকে ডিন, ছাত্র উপদেষ্টা ও দুই কর্মচারীকে উদ্ধার করেন। একপর্যায়ে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে ২২ শিক্ষার্থীকে আটক করে। আটককৃতদের কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

 

ক্যাম্পাসকে স্থিতিশীল রাখতে সকল প্রকাশ মিটিং মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে তারপরও আন্দোলন চলছে। শিক্ষার্থীদের গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন শেখ বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি ও প্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলাম ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মনকে জিম্মি করে রাখে। জিম্মি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে।

এছাড়াও চেক করুন

রাজনৈতিক মামলায় পলাতক সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ

ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের দক্ষিন খাসেবাড়ী মোস্তাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ পিতার- …