সিএন নিউজ২৪.কম, অনলাইন ডেস্কঃ
দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও দুটি স্থলবন্দরে স্থাপন করা হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বা ই-গেট।
এসব বন্দরে ৫০টি ই-গেট স্থাপন হবে, যাতে ইলেকট্রনিক পাসপোর্টধারীরা সহজেই ইমিগ্রেশন পার হতে পারবেন।
আগামী ১ জুলাই থেকে দেশের নাগরিকদের ই-পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ৩০ জুনের মধ্যে সব কাজ শেষ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ই-পাসপোর্টের ডাটা থাকবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ডাটা বেইসেও।
এ উদ্যোগ ২০১৭ সালে নেওয়া হলেও বিভিন্ন কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কয়েক দফা পেছানোর পর আগামী ১ জুলাই থেকে নাগরিকদের ই-পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য কাজ চলছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা।
জার্মানির সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে অনেক আগেই,
ইতিমধ্যে ই-গেট জার্মানি থেকে দেশে আসার পথে রয়েছে, আসার পরপরই পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপন করা হবে।’
৫০টি ই-গেটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বসানো হবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ভিআইপি, ভিভিআইপি যাত্রী ছাড়াও শুধু ২৪টি গেট সাধারণ যাত্রীদের ব্যবহারের জন্যই বসানো হতে পারে।
যেভাবে কাজ করবে ই-গেট, ই-পাসপোর্ট নিয়ে যখন একজন ব্যক্তি ই-গেটের কাছে যাবেন তখন একটি নির্দিষ্ট স্থানে ই-পাসপোর্টটি রাখলে সঙ্গে সঙ্গে গেট খুলে যাবে। নির্দিষ্ট নিয়মে গেটের নিচে দাঁড়ানোর পর ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। এরপর সব ঠিকঠাক থাকলে ১২-১৫ সেকেন্ডের মধ্যেই যাত্রী ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন।
তবে কেউ যদি ভুল করেন তা হলে লাল বাতি জ্বলে উঠবে। তখন সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সঠিকভাবে ই-পাসপোর্ট ব্যবহারে সহযোগিতা করবেন।
বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি নিয়ে ইমিগ্রেশন পার হতে গেলে ১০-১৫ মিনিট বা কখনো আরো বেশি সময়ও লেগে যায়। যে কারণে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কিন্তু ই-পাসপোর্ট থাকলে কয়েক সেকেন্ডে পার হওয়া সম্ভব হবে বলে এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে
