সিএন নিউজ২৪.কম ।
প্রজন্ম আজ জ্ঞান চর্চা থেকে অনেক দূরে। জ্ঞান অর্থ -জানা, বুঝা, অবলোকন করা,ইঙ্গিত পাওয়া ইত্যাদি জ্ঞান মানুষের আত্মিক উন্নয়নের দাবিদার। আজ তা বর্তমান স্মার্টনেস এর নামে নিজকে বিলিয়ে দিচ্ছে অতল গহ্বরে।
এই মানুষগুলো হাল ফ্যাশনের চাহিদা যোগাতে ব্যাকুল। আজ যদি তার আসবাবপত্র কত কিছু আছে তা হিসেব করা যায় না কিন্তুু তার রুমে ডুকলে একটা বই খুঁজে পাওয়া যায় না। একটা ব্যক্তিগত লাইব্রেরী নাই আজ এই প্রজন্মের কাছে। তাদের কাছে বইয়েরও কোনো মূল্য নেই।
যে কোন ব্যক্তির পক্ষে আল্লাহভীরু হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য নিরন্তর ও স্বচ্ছ জ্ঞানার্জনের কোন বিকল্প নেই। স্বচ্ছ জ্ঞান মানুষকে নিরহংকারী, মানবিক ও সমাজ সচেতন করে তোলে।তিনি তখন পরিবার ও সমাজ, রাষ্ট্রের কাছে আশীর্বাদ হয়ে উঠেন।
তাতাররা বই ধ্বংস করেছিলো, বাগদাদের এগারো লক্ষ বই পাঠককে হত্যা করেছিলো বটে। বইয়ের কি শক্তি।
আর আজ, মুসলমান যুবকদের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা সবচেয়ে কম! কী লজ্জা! কী নির্মম পরিণতি! কী নিদারুন মানসিক বিকৃতি! জ্ঞান বলতে কেবল পুঁথিগত বিদ্যা ও প্রতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেটকেই বোঝানো হয়নি।ভবিষৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হলে -ব্যাপক পড়াশোনা করতে উৎসাহ দিন।
ইতিহাস শিক্ষা দিন। ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত করুন।ওদের স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে উৎসাহ দিন।বাড়িতে পাঠাগার গড়ে তুলুন। তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিন। নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখান।
হাঁটতে-বসতে, চলতে-ফিরতে, নৈতিকতা শিক্ষা দিন। আমরা হবো, আল ফারাবি,ইবনে হাইসাম,আল বিরুনি,ইবনে সিনা,আল রাযি,ওমর খৈয়াম, আল কিন্দি,ইবনে রুশদ,ইমাম খোমেনি। আর চোখে দেখবো আমরা হাজারো সোনালি স্বপ্ন।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে
