প্রচ্ছদ / ক্যাম্পাস / ‘অভিযোগের প্রমাণ দিতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাবো’

‘অভিযোগের প্রমাণ দিতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাবো’

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক প্রক্টর ড. মাহবুবর রহমান এর দায়ের করা ১০০ কোটি টাকা মানহানী মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শাখা ছাত্রলীগের বিদ্রোহীদলের নেতারা।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ। সমাবেশ শেষে তারা উপাচার্য বরাবর মামলা প্রত্যাহার ও অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানকে সকল প্রকার প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির দাবি জানায়।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান লালনের সকল অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ড. মাহবুবর বলেন, আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সমূহের তথ্য প্রমাণ দিতে পারলে আমি বিশ্বিবদ্যালয় ছেড়ে চলে যাবো। আমি আমার সাংবিধানিক অধিকার গ্রহণ করে অভিযোগকারীদের সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। আর যদি তথ্য প্রমাণ না দিতে পারে তাহলে আনুষ্ঠানিকভাবে আমার সততার স্বীকৃতি দিতে হবে। এব্যাপারে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন এবং প্রশাসনের কাছে এব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেছিলাম তাদের কাছ থেকে কোনরকম সাড়া না পেয়ে আমি আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।

সম্প্রতি ডিবিসি নিউজে দেওয়া লাইভ সাক্ষাৎকারে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান লালন। এর প্রতিবাদে গত ১৭ অক্টোবর কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইবি আমলী আদালতে লালনকে মামলার প্রধান বিবাদী করে ও ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মুনজুরুল ইসলামকে ২ নম্বর বিবাদী করে দন্ডবিধির ৫০০/৫০১/৫০২ ধারা মোতাবেক মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর ইবি সি, আর ১৫৪/২০১৯।

জানা যায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর ডিবিসি নিউজে “মানচিত্রঃ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অস্থিরতা” বিষয়ক লাইভ সাক্ষাৎকার দেন মামলার প্রধান বিবাদী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান লালন।

এসময় তিনি মামলার বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্যের মূলহোতা, শিক্ষার্থীদের দেখে নেয়ার হুমকি, ছাত্রলীগের উপর গুলিবর্ষণের নির্দেশদাতা একমাত্র তিনিই।

এছাড়া ছাত্র থাকাকালীন সময়ে তার ছাত্রশিবিরের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগও করেন এ নেতা। পরে ড. মাহবুব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতি বরাবর তার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে বিচারের দাবি জানান।

এছাড়াও চেক করুন

অনলাইনে সদস্য নিচ্ছে কুভিকসাস

সাফায়েত উল্লাহ মিয়াজী: নতুন সদস্য সংগ্রহ করছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ সাংবাদিক সমিতি (কুভিকসাস)। শনিবার এ …