প্রচ্ছদ / জাতীয় / উপকূল ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন ও গোলটেবিল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

উপকূল ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন ও গোলটেবিল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

 সিএন নিউজ নিজস্ব প্রতিবেদক :

আজ মঙ্গলবার সকাল ৯ ঘটিকায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে উপকূল ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে ১২-ই নভেম্বর’কে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানবন্ধনের পর প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘ভয়াল ১২ই নভেম্বর: টেকসই উপকূল ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকে উপকূল ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক এম. আমীরুল হক পারভেজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় উপকূলের জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড ও ১২ই নভেম্বরকে উপকূল দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবিসহ মোট ৮ দফা দাবি ঘোষণা করা করা হয়।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি বলেন, উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড ও ১২ই নভেম্বর উপকূল দিবস ঘোষণার বিষয়ে আগামী ক্যাবিনেটে উপস্থাপন করা হবে। কারণ কোন বিষয়ে আলাদা বোর্ড বা অধিদপ্তর না থাকলে সে বিষয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জোরদার হয় না। এ দাবি দু’টির অত্যন্ত যৌক্তিকতা রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগের সময় জোর করে লোকজনকে সরিয়ে না নিতে উপকূলী অঞ্চলে বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের টেকসই উন্নয়নে গৃহ নির্মাণের যে প্রকল্প রয়েছে, সে প্রকল্পে সিঙ্গেল ঘর নির্মাণ না করে, মাল্টিস্টোরেড ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। তাহলে যে কোন ধরনের দুর্যোগের সময় মানুষকে আর আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হবে না। এনামুর রহমান আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাত থেকে রক্ষা করতেও উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণ করা হলে তাদের আর জোর করে আশ্রয় কেন্ত্রে সরিয়ে নিতে হবে না। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে মানুষের বাসস্থানের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার ৩ কোটি ঘর-বাড়ী নির্মানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকার নতুন করে ২৬ হাজার টেকসই বড়বাড়ী নির্মাণ করছে, আরো তিন লাখ এ ধরনের ঘরবাড়ী নির্মাণ করা হবে। ডা. এনাম বলেন, সরকার এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ভূমিকম্প সহনীয় হিসেবে দেশকে গড়ে তোলার জন্য জাপানের এবং উপকূলীয় এলাকায় বাঁধ নির্মাণের জন্য নেদারল্যান্ডের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হচ্ছে। দেশের ৭১০ কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকায় আরসিসি ঢালাই দিয়ে উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। বক্তারা বলেন, উপকূলের উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। বিশেষ করে বেড়ীবাঁধ নিমাণের ক্ষেত্রে কনক্রিটের ব্যবহার বাঁধ রক্ষায় বেশ উপযোগী বলে তারা মনে করেন। এছাড়া উপকূল উন্নয়ণে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা সেল গঠনেরও দাবি করা হয়। উপকূলীয় জেলা ভোলায় একটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনেরও দাবি করা হয় অনুষ্ঠানে। আলোচনায় আরো অংশ নেন অতিরিক্ত সচিব ও স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক নিখিল রঞ্জন রায়, রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব সুলতান আহমেদ, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (প্রশাসন) অতিরিক্ত সচিব মো. জহুরুল হক, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাবেক কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম মাহবুব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এন্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ ইনিস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক ড. নূরুল ইসলাম নাজেম, বাংলাদেশ প্রোকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদ হেলালী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসান এ. শাফী, কবি ও সাংবাদিক নাসির আহমেদ প্রমুখ।

এছাড়াও চেক করুন

রাজনৈতিক মামলায় পলাতক সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ

ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের দক্ষিন খাসেবাড়ী মোস্তাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ পিতার- …