নিজস্ব সংবাদ দাতা, রাংগামাটি প্রতিনিধিঃ
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক বলেছেন ভূমি বিরোধ সংক্রান্ত জমা পড়া আবেদনগুলো যাছাই-বাছাই করে খুব শিগগিরই শুনানী শুরু করা হবে। তিনি আরো বলেন, খাগড়াছড়িতে কমিশনের প্রধান কার্যালয় হলেও কমিশনের কাজের সুবিধার্থে রাঙামাটিতে নতুন শাখা অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের কার্যালয় থেকে একটি কক্ষ ভাড়া নেয়া হয়েছে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর কমিশনের পরবর্তী বৈঠক সেখানে অনুষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের (ল্যান্ড কমিশন) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান। রাঙামাটি সাকির্ট হাউসে অনুষ্ঠিত ঘন্টাব্যাপী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক। এসময় কমিশনের সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা, রাঙামাটি সার্কেল চীফ রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়,রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কমিশনের সদস্যরা রাঙামাটি জেলা পরিষদ কার্যালয়ে কমিশনের নতুন শাখা অফিস পরিদর্শন যান কমিশনের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সদস্যরা। কমিশনের অন্যতম সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমা পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি নিয়ে অনেক অনেক জটিলতা থেকেই গেছে উল্লেখ সাংবাদিকদের বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি জটিলতা নিয়ে এখানকার প্রশাসন আইন-শৃংখলা উন্নয়ন ও এখানকার মানুষের জীবনধারাসহ কিছুই জড়িত রয়েছে। পার্বত্য চুক্তির ২২ বছর অতিবাহিত হলেও ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থপনা বিষয়টি এখনো জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করেনি। তিনি আরো জানান, এসব জটিলতার মধ্যেও ভূমি কমিশন চেষ্টা রাখবে কিভাবে ভুমির সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে একটা সুষ্ঠ সমাধান দেয়া যায়। কমিশনের অপর গুরুত্বপূর্ন সদস্য ও রাঙামাটি সার্কেল চীফ রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় জানান, ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতা, ব্যাপকতা ও প্রেক্ষাপটগুলোর ব্যাপারে ভূমি কমিশনের সদস্যদের মধ্যে বোঝাপোড়া দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশা করছি ন্যায় ও নায্য সমাধান দিতে পারবো এবং চেষ্টা করছি দ্রুত শুনানীতে পৌছানোর জন্য। এছাড়া ভূমি কমিশনের বিধিমালা রয়েছে যা এখন মন্ত্রনালয়ে চলমান রয়েছে সে ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ থেকে দেয়া সমস্ত সুপারিশ ও পরামর্শ সরকার গ্রহন করে বিধিমালা তৈরী করবে যা কমিশনের কাজ সুবিধা হবে। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যাপারে নায্য সমাধান দিতে পারবো আশা ব্যক্ত করে আরো জানান, এ ব্যাপারে কেউই একশ ভাগের একশভাগ খুশি হবে না। একটি না একটি অখুশী থাকবে। তবে আশাবাদী যে কমিশনের কাজ কিছুটা করতে পারবো। এর ফলে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের নয় পৃথিবীর মধ্যে একটি নজির হতে পারি। যা কিনা কোন উকিল, দেওয়ানী কার্যবিধি ও জটিল আইনী বিষয় ছাড়া বিচার দেয়া যায় ও সুবিচার পাওয়া যায়।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে
৭ মন্তব্য
Pingback: click for info
Pingback: นำเข้าสินค้าจากจีน
Pingback: view it
Pingback: juegos online para ganar dinero en venezuela
Pingback: รับจด อย
Pingback: reborn doll websites
Pingback: รับทำแพคเกจจิ้ง