মিজানুর রহমান সুজন, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় ‘ফুলপুর সাহিত্য পরিষদ’ এর উদ্যোগে পালিত হয়েছে নাবান্ন-পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার দুপুর ২ টায় গ্রামাউস মডেল একাডেমী প্রাঙ্গনে উৎসবের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম। ফুলপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি আকবর আলী আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নবান্ন-পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ফুলপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ আমিনুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য শাহ্ কুতুব চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল খালেক, ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমারত হোসেন গাজী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া পারভীন লাকি, ফুলপুর মহিলা ডিগ্রি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ রওশন আরা বেগম, গ্রামাউস’র উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান হবি, ফুলপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরমুজ আলী চৌধুরী, পয়ারী গকুল চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী খোকন, ফুলপুর সাহিত্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক নাহিদ নিগার সুলতানা, হেলডস্ ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান, হেলডস্ ফাউন্ডেশনের কমিশনার শাহ মো: নাফিউল্লাহ সৈকতসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সাহিত্য পরিষদের উপদেষ্টা, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাহিত্য পরিষদের সদস্যবৃন্দ।
পরে ফুলপুর সাহিত্য পরিষদের সদস্যদের তৈরি পাটিসাপটা, পুলি, পাকন, গোলাপ ফুল, সরষে ফুল, মালপোয়া, পোয়া, ডিমপিঠা, সীমফুল, মেড়া ও ঝালপিঠা পুলি, ভাপা, চিতই সহ গ্রাম বাংলার বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পিঠা পরিবেশন করা হয়। ফুলপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি আকবর আলী আহসান জানান, “আবহমান বাঙালির সংস্কৃতিকে মানুষের হৃদয়ের জমিনে ধরে রাখার জন্যই আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াস।” তিনি উৎসবে যোগ দেওয়া সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, “এর মাধ্যমে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন পিঠা সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে।” সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা এভাবেই বেঁচে থাকবে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। ফুলপুর সাহিত্য পরিষদের মতো সামাজিক সংগঠন গুলো এগিয়ে আসলেই ফাস্টফুডের এই যুগেও নতুন প্রজন্ম নিতে পারবে গ্রামীণ ঐতিহ্যের স্বাদ।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে