নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য আবেদন লিখতে পারেনা বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের শাখা কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল হক। তিনি আগে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে লিপি কৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) প্রশাসন ভবনের সামনে সকাল ১১ টায় শুরু হওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকার্তা সমিতির ১৬ দফা দাবীতে কর্মবিরতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সার্টিফিকেট তোলার সময় আবেদন লিখতে হয়, শিক্ষার্থীরা আবেদন লিখতে পারে না। সে ছাত্র ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় বিশ্ববিদ্যালয়টা কর্মকর্তাদের নামে লিখে দেয়া হোক। আমরা কি বলেছি একবারও যে বিশ্ববিদ্যালয়টা কর্মকর্তাদের লিখে দেয়া হোক।আমরা এখন পর্যন্ত এক ঘন্টা, দুই ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করেছি এ দাবি আদায়ে যে সংগ্রাম করা দরকার সেটা এখনো করিনি কিন্তু এখন করতে বাধ্য হবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই ইবি কর্মকর্তাদের সন্তানদের ভর্তির দাবির বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্য করে তার জবাবে কর্মকর্তারা আরিফুল হক এ মন্তব্য করেন বলে জানা যায়।
ইবি শাখা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আব্দুর রউফ বলেন, কর্মকর্তারা কোটায় ভর্তির জন্য যে দাবী জানিয়েছে তা অযৌক্তিক। একজন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ জীবনে এসে সার্টিফিকেট উত্তোলনের সময় ভোগান্তির স্বীকার হয়। অথচ কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বলবে সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে গিয়ে হয়রানির স্বীকার হয়েছি। এতেই বুঝা যায় যোগ্যতা কাদের নেই শিক্ষার্থীদের না কর্মকর্তাদের। এমন কান্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য কর্মকার্তা, কর্মচারী বা প্রশাসনের কাছে আমরা আশা করি না।
ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নাই। যিনি এমন মন্তব্য করেছেন তিনি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে স্থানান্তরিত হয়েছেন।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাঃ সাইদুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য আবেদন লিখতে পারেনা এটা অসত্য।
নিয়োগ, পদোন্নতিসহ মোট ১৬ দফা দাবীতে গত ১০ ফেব্রুয়ারী থেকে ১ ঘন্টা কর্মবিরতি শুরু করে কর্মকর্তারা। আজ থেকে ২ ঘন্টা কর্মবিরতি পালন শুরু হয়েছে, প্রশাসন কোন সিদ্ধান্ত না নিলে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবে বলে জানিয়ে কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর ৩ দফা দাবিতে মৌনমিছিল করেছিল কর্মকর্তারা এবং ২০১৯ সালের ৩ মার্চ ৩ দিনব্যাপী কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিল তারা। এছাড়াও ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করেছিল তারা।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে
৪ মন্তব্য
Pingback: open the site
Pingback: relx
Pingback: ktvvip
Pingback: storing wood pellets