
নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মাধ্যে দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সিনিয়রকে বন্ধু ভেবে ডাক দেয়ায় থেমে থেমে এ সংঘর্ষ ঘটে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) প্রথম দফায় রাত ৯ টায় ও পরে রাত ১১ টায় এ সংঘর্ষে আহত হয় রিয়ন, সাব্বির ও হিমেলশ ছাত্রলীগের পাঁচজন কর্মী। এরা সবাই ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের অনুসারী বলে জানা যায়। কয়েকজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। হিমেল চাকমার অবস্থা গুরুতর হওয়ার ডাক্তার তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে স্থানান্তর করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের জেবিয়ারকে বন্ধু ভেবে ডাক দেয় আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রলীগ কর্মী কামাল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কামালকে গালাগাল করে শাসায় জেভিয়ার। এ ঘটনায় কামাল দুঃখ প্রকাশ করলে তাকে কক্ষে গিয়ে দেখা করতে বলেন জেভিয়ার।
পরে কামাল তার বন্ধুদের নিয়ে জিয়াউর রহমান হলের ১২৭ নং কক্ষে জেবিয়ারের সঙ্গে দেখা করতে যায়। এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জেবিয়ারকে মারধর করে কামাল ও তার বন্ধুরা।
প্রথম দফা মারধরের পর ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত, শাহজালাল ইসলাম সোগান, বিপুল, অনিক মিমাংসা করে দিলেও ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।
একপর্যায়ে জেভিয়ার সমর্থকরা হলের রুমে রুমে গিয়া কামালকে খুঁজতে থাকে। এসময় জেবিয়ার তার গ্রুপের ইমতিয়াজ, জয়, সালমান, হামজাসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়া হলের ওই কক্ষে আক্রমণ করে বেশ কয়েকটি রুমে ভাংচুর চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে সাদ্দাম হোসেন হল থেকে মোশাররফ হোসেন নীল এবং হিমেল চাকমার নেতৃত্বে লাঠিসোঁটা হকিস্টিক, লোহার রড, পাইপ নিয়ে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ছুটে আসলে জিয়াউর রহমান হলের মসজিদের সামনে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে।
এসময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের হাতে দেশিয় অস্ত্র, লোহার রড়, স্টাম্প, এবং কাঠ ও লাঠিসোঠা লক্ষ্য করা যায়।
এদিকে ছাত্রলীগ কর্মী ইমতিয়াজের কক্ষ (৪১৫) ভাংচুর করে অপর পক্ষের কর্মীরা। এ ঘটনার পর সাদ্দাম হলেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ছাত্রলীগ কর্মীদের এ সংঘর্ষের ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডির সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষ শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন ও পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থলে আসেন বলে জানা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের ডাক্তার মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, ছেলেটি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। মাথায় ইনজুরি তাই ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশনে রাখতে হবে।
এবিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, সিনিয়র আর জুনিয়রের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের ফলে কয়েকজন আহত হয়েছে। একজন বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে এবং গুরুতর আহত একজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ শান্ত আছে।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে
৫ মন্তব্য
Pingback: เน็ตบ้าน ais
Pingback: mostbet apk
Pingback: อาหารเสริม
Pingback: ดวง เศรษฐี 168 จัดให้ หวยครบ จ่ายเต็ม ไม่มีอั้น
Pingback: ข่าวสารฟุตบอล