সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান পরিস্থিতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী জুলফিকার শাহিন টিটু। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে তিনি আত্মঘাতী মন্তব্য করে ফেসবুকে যা লিখেন তা তুলে ধরা হলো।
অফিসের প্রথম প্রহরে কম্পিউটার ওপেন করে মাত্র ফেসবুক অন। ব্যস..! দৃশ্যায়ীত হলো আমার প্রিয় ছাত্রলীগের ভায়ের রক্তে লালীত মুখোচ্ছবি। ফুরফুরে মনটা ব্যাথিত হলো নিমিষেই। কি অদ্ভুদ,অমানবিক কর্মযজ্ঞ..! ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সর্বোত্তর সোনালী সময় অতিবাহিত হচ্ছে বর্তমানে। পাঠ্যক্রম,অবকাঠামোগত উন্নয়ন,উন্নতসমৃদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থা,আন্তর্জাতিকীকরণের পথে ইবির ধাবিত হবার যে আকাশচুম্বি অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে তা কল্পনাতীত। প্রফেসর ড. হারুন-উর রশিদ আশকারীর নেতৃত্বে বর্তমান প্রশাসনের নানানমুখি কর্মকান্ডের অবিশ্বাস্য ছোয়া আজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বে ভূয়সী প্রশংসীত হচ্ছে।
ঠিক সেই মাহেন্দ্রক্ষনটিতে ছাত্রলীগের নেতিবাচক এসব কর্মকান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবগতি ব্যাহত হবে সেটি অত্যন্ত লজ্জাষ্কর। কিছুদিন আগে ছাত্রলীগের কর্মী দ্বারা রক্তাত্ত হতে দেখেছি ইবি ছাত্রলীগের সম্পাদক রাকিবকে। ইবি ছাত্রলীগের ভাইদেরকে বলি আমি ব্যক্তিগতভাবে বর্তমান সভাপতি-সম্পাদককে দেখিওনি,চিনিওনা তবুও বলব পলাশ-রাকিবের থেকে অনেক অযোগ্য ছেলেরাও কিন্তু ইবি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসছে। কই তাদের বিরুদ্ধে তো কাউকে এতো বিপ্লবী হতে দেখিনি যেমনটি তোমরা করছো। তোমাদের কিসের এতো দ্বন্দ…? কিসের এতো শত্রুতা..? কিসেরইবা স্বার্থ..? তোমাদের তো শিবিরের বিরুদ্ধে বিপ্লবী হতে হয় না,পড়ালেখার সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বিপ্লবী হতে হয় না, সেশনজোট কমানোর জন্য বিপ্লবী হতে হয় না। সাজু ভাই থেকে শুরু করে কেরামত-সাজ্জাত ভাইদের মতো দুর্দিন,দুঃসময়ে তোমাদের রাজনীতি করতে হয়না তাই তোমরা এতো বিপ্লবী..? তুহিন-জাহাঙ্গীর ভাইদের নেতৃত্বে আমরা যখন শিবিরমুক্ত ক্যাম্পাস গঠনের মিশনে শিবিরের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ন হতাম তোমাদের বোধহয় তেমনটি করতে হচ্ছেনা তাই তোমরা এতো বিপ্লবী…? তোমাদের এখন ওয়ান ইলেভেনে ডায়না চত্বর থেকে র্যাবপুলিশের বিক্ষিপ্ত লাটিচার্জের মতোন নিদারুন দুর্দশায় পড়তে হয়না তাই এতো বিপ্লবী..? সেজন্যই এতো বীরত্ব দেখাও নিজ ভায়ের পবিত্র শরীরের রক্তকনার উপর..! যাদের মুখে বঙ্গবন্ধু এবং জয় বাংলার স্লোগান উঠে তারা সবাই একই রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ ভাই। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করবার জন্যে এবং নিজের শরীরের শক্তি প্রদর্শনের জন্য সেই ভাইকে যারা রক্তাত্ব করে আর যাই হোক তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করেনা করেনা করেনা..!!!
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে উপদেশ দেবার মতো যোগ্য আমি নই কিন্তু ভর্তির পর থেকে শিবিরের সাথে প্রতিটি লড়াই সংগ্রামে নেতাদের সাথে সাদ্দাম হলের সামনের মাঠে যুদ্ধরত রাত কাটিয়েছি। ওয়ান ইলেভেনে নেত্রীর আটকের সেই ভয়াল সময়টিতে ১৮-২০ জনের মিছিলের আমিও একজন গর্বিত কর্মী। মনে পড়ে সেই মিছিলে বর্তমান সহকারী রেজিষ্টার ইব্রাহিম হোসেন সোনা ভাইয়ের নতুন এপেক্স জুতাটা খুলে গেলে র্যাব-পুলিশের বিক্ষিপ্ত লাটিচার্জে জুতা ফেলে লালন হলের পিছন দিয়ে দৌড়ানোর অভিজ্ঞতা। এসব কারনেই মাঝে মধ্যে ভাললাগার,ভালবাসার ছাত্রলীগকে অহেতুক,অকারনে রক্তাত্ব হতে দেখলে হৃদয়টা বড় আহত হয়।
নেতীবাচক কর্মকান্ড পরিহার করে মাননীয় ভিসি স্যারের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডে যার যার অবস্থান থেকে অংশগ্রহনের মাধ্যমে একটি উন্নত আধুনিক,শিক্ষাবান্ধব আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে ভুমিকা রাখবো এই হোক দ্বীপ্ত অঙ্গিকার।
লেখক
মোঃ জুলফিকার শাহিন টিটু
সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও মানবাধিকার কর্মী।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে
২ মন্তব্য
Pingback: รับงานเอง
Pingback: เครื่องออกกำลังกายกลางแจ้ง