প্রচ্ছদ / প্রচ্ছদ / সিরাজগঞ্জে সরকারি ঘর পেয়ে খুশিতে কাঁদলেন রিনা বেগম

সিরাজগঞ্জে সরকারি ঘর পেয়ে খুশিতে কাঁদলেন রিনা বেগম


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় দুর্যোগসহনীয় ঘর পাচ্ছেন স্বামীহারা রিনা বেগম। সে কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের বাড়াকান্দি গ্রামের বাসিন্ধা।

রিনা বেগমের স্বামী আব্দুল লতিফ মারা গেছেন প্রায় ৬ বছর আগে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী তিনিই ছিলেন। ছোট ছোট ২ ছেলে ও ২ মেয়েকে নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় থাকতেন রিনা বেগম । কিভাবে সংসার চালাবেন বা তাদেরকে কিভাবেই মানুষ করবেন ? তখন তিনি নিজেই বিভিন্ন গৃহিণীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সারাদিন ঝিয়ের কাজ করতেন এবং সারাদিন কাজ করে পারিশ্রমিক পেতেন মাত্র ১৫০ টাকা। এছাড়া মাঝে মাঝে মাটি কাটার কাজও করে সংসার চালাতেন । আর কাজ না থাকলে ভাঙ্গা একটা টিনের ঘরে ছেলে, মেয়ে গবাদি পশুকে নিয়ে একই ঘরে থাকতেন। কোন কোন দিন ছেলে মেয়েকে নিয়ে পান্তা ভাত খেতেন আবার কোন দিন খাবার না খেয়েই দিন পার করতেন।

রিনা বেগমের বড়ছেলে রিয়াদুল ইসলাম (১৭) আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, সরকারী ঘর পেয়ে অনেক খুশি ও আনন্দিত, বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই কোন শীতের দিনের রাতে কাঁচা মরিচ দিয়ে পান্তা ভাত খেয়ে আবার কোন দিন না খেয়েই কষ্ট করে দিন পার করেছি। ভাঙ্গা একটা ঘরে ছোট ভাই বোনকে নিয়ে গরু, ছাগলের সাথে থাকতে হয়েছে। মাঝ রাতে গরু চোনা বা গোবর বিছানায় ছিটে আসতো তার ভিতরেই শুয়ে থাকতে হয়েছে।

আবার ঝড় বৃষ্টির দিন টিনের ফুটা দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়তো, ঘরের নিচ দিয়ে কুকুর, বিড়ালসহ নানা ধরনের প্রাণী আসা যাওয়া করতো।

রিনা বেগম (৩৬) সরকারি ঘর পেয়ে খুশিতে কাঁদতে কাঁদতে বলেন , কনকনে শীতের রাতে ইউএনও স্যার আমাদের গ্রামে গরীব পরিবারগুলো বাড়ি বাড়ি গিয়ে কম্বল বিতরণ করেছিলেন সেই কম্বল বিতরণের সময় আমার বাড়িতে এসেও দুইটা কম্বল দিয়েছিলেন। আমার ভাঙ্গা ঘর দেখে। ইউএনও স্যার আমাকে কাগজ পত্র নিয়ে অফিসে দেখা করতে বলেন। দেখা করার দুই দিন পরেই দুই বান টিন ও টয়লেট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এরপর প্রায় আড়াই মাস পরে আমার বাড়িতে ইট, বালুসহ পাকা ঘর করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ও ইউএনও স্যার জাহাঙ্গীর আলমের প্রতি কৃতজ্ঞ।

এ ব্যাপারে কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, মঙ্গলবার (৩ মার্চ) আমি উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শহিদুল্লাহ সবুজ, ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানসহ স্থানীয় ইউপি মেম্বারদের নিয়ে এ ঘরের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করি। খুব দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করে হস্তান্তর করা হবে।

জানা যায়, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে কামারখন্দে দুর্যোগসহনীয় মোট ঘর বরাদ্দ রয়েছে ৩০টি এর মধ্যে রায়দৌলতপুর ইউনিয়নে ৬ টি ঘর বরাদ্দ রয়েছে।

এছাড়াও চেক করুন

রাজনৈতিক মামলায় পলাতক সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ

ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের দক্ষিন খাসেবাড়ী মোস্তাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ পিতার- …