প্রচ্ছদ / জাতীয় / মেসভাড়া নিয়ে চিন্তিত না হওয়ার আহবান জবি ভিসির

মেসভাড়া নিয়ে চিন্তিত না হওয়ার আহবান জবি ভিসির

 

জবি প্রতিনিধিঃ

বিশ্বব্যাপী চলছে করোনার প্রকোপ। ব্যাতিক্রম নয় বাংলাদেশও।মানুষের সমাগম রোধে সারাদেশে চলছে লকডাউন। বন্ধ রয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহ দেশের সকল স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোও। বন্ধের মেয়াদ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

করোনার ভয়াবহ থাবায় দেশে বিরাজমান ক্রান্তিলগ্নে বিপাকে পড়েছে হলবিহীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাধারন শিক্ষার্থীরাও। হল না থাকায় মেসই জবি শিক্ষার্থীদের একমাত্র আশ্রয়স্থল। মেসে থেকেই পড়ালেখা চালাতে হয় তাদের। টিউশনের টাকা দিয়েই চলে অধিকাংশ জবি শিক্ষার্থীদের সমস্ত খরচ ,কিন্তু লকডাউন এবং বর্তমানে বিরাজিত ভয়াবহ অবস্থায় টিউশন ও বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলশ্রুতিতে খুবই করুন দিন কাটছে তাদের।উপার্জনের মাধ্যম টিউশন বন্ধ হলেও এমন অন্তিম পরিস্থিতিতে মওকুফ করা হচ্ছেনা তাদের বাড়ি ভাড়া।

সম্প্রতি জবি শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘করোনা মহামারীতে বাড়ি ভাড়া সংকট নিরসন চাই’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপও খোলা হয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা বাড়িভাড়া মওকুফের প্রয়োজনীয়তা এবং এই সংক্রান্ত তাদের বিভিন্ন অভিমত জানান।

এ বিষয়ে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ফারজানা মিম বলেন,আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত। আমাদের হল না থাকার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই নিজের খরচে পড়ালিখা এবং বাড়িভাড়ার খরচ চালাই। করোনা মহামারীতে এই পথ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। এবং করোনা পরিস্থিতি উন্নতি না হলে সেপ্টেম্বরের আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে না। আমাদের মার্চ মাস থেকে ভাড়া বকেয়া। তাহলে মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে (প্রতি মাসে এভারেজ ২ হাজার টাকা ভাড়া ধরলে) প্রায় ১২ হাজার টাকা জমা হয়। করোনা মহামারীতে প্রত্যেক মধ্যবিত্ত নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে। একবারে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পরিশোধ করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব। এই অবস্থায় প্রশাসন কার্যকর বিবেচনাপ্রসূত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা করছি।
শিক্ষক সমিতি মোট ২২ হাজার শিক্ষার্থীর মাত্র ৬০০ জন অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে যে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করবেন তা পরিস্থিতির তূলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। আমাদের যেহেতু হল নেই, আমাদের বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত সংকট প্রশাসনকেই সমাধান করতে হবে। বিশ্ববদ্যালয় প্রশাসন যদি সংগঠিত, কার্যকর ও বিবেচনাপ্রসূত পদক্ষেপ না নেয় তাহলে এমন সংকটাবস্থায় আমরা কি করবো? প্রশাসনকে দায় এড়ালে চলবে না, ভাবতে হবে। এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, মেসগুলো যেহেতু ব্যক্তি মালিকানাধীন সেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের এখানে কিছু করার নাই। দরকার হলে আমরা সরকারের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করব।তবে আপাতত মেসভাড়া নিয়ে কেউ চাপ প্রয়োগ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানালেই ব্যবস্থা নিবেন তিনি।বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের কোনো শিক্ষার্থী বা কর্মচারীর চিকিৎসা বা যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে সেটার সমাধানে আমরা আর্থিক ভাবে সাহায্য করে যাচ্ছি।

তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফি, শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষকদের এক দিনের বেতন এবং বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ প্রোগ্রামের টাকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনেক প্ল্যান রয়েছে,ক্যাম্পাস খোলার পর এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও ঘোষণা দেয়া হবে।

এছাড়াও চেক করুন

রাজনৈতিক মামলায় পলাতক সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ

ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের দক্ষিন খাসেবাড়ী মোস্তাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ পিতার- …