প্রচ্ছদ / কুমিল্লা ও নাঙ্গলকোট / নাঙ্গলকোট হেসাখালে জমজমাট পশুর হাট

নাঙ্গলকোট হেসাখালে জমজমাট পশুর হাট

শামীমুর রহমান, নাঙ্গলকোট

জমছে না জমছে না করে হঠাৎ নাঙ্গলকোটের হেসাখাল বাজারে কোরবানির পশুর হাট জমে পুরো ক্ষীর! আজ বৃহস্পতিবার জমজমাট বিক্রি উপজেলার বেশকয়েকটি পশুরহাটই। জমেছে জেলার বাজারগুলোও। পুরোদমে চলছে বেচাকেনা। বৃষ্টিতে কাদা-পানি উপেক্ষা করেই পশুর হাটে ভিড় করছেন ক্রেতারা। অনেকে ইতোমধ্যেই কিনে নিয়ে গেছেন পছন্দের গরু-ছাগল।
উপজেলার হেসাখাল পশুর হাটে বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই ) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে পশুর কোনো কমতি নেই। চাহিদা মোতাবেক পশু রয়েছে হাটে। তবে দাম এখনও চড়া বলে জানান ক্রেতারা। ৬০-৭০ হাজার টাকার কমে কোনো গরু পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে অনেকে অপেক্ষা করে আছেন দাম কমার।
এবার বাইরের জেলা থেকে অনেক পশু এসেছে। ফলে পশুর কোনো ধরনের ঘাটতি নেই বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, এবার যশোর, কুষ্টিয়া, রংপুর, পঞ্চগড়, নওগাঁ, রাজশাহী থেকে অসংখ্য গরু-ছাগল আনা হয়েছে। আজও ট্রাকভর্তি গরু এসেছে। বাজারের মুখে নামানোর পর সেগুলো হাটে ঢুকানো হচ্ছে।
ভেতরে কোনো ধরনের জায়গা নেই। হাটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গবাদি পশুতে ঠাসা। প্রবেশ মুখেও রাখা হয়েছে গরু-ছাগল। বাজারের ভেতরে সড়কের দু’পাশে সারি সারি গরু দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। সড়কের উত্তর ও দক্ষিণে খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়েছে শত শত গরু। পাশাপাশি রয়েছে অসংখ্য ছাগল। কিছুসংখ্যক মহিষও দেখা গেছে।
গত দু’দিনের তুলনায় হাটে ক্রেতাদের ভিড়ও কয়েকগুণ বেশি দেখা গেছে। বেচাকেনাও বেশ জমজমাট।
কামাল নামে এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি ৫০টি গরু এনেছেন। বুধবার সাতটি বিক্রি করেছেন। বাকিগুলো আজকালের মধ্যে বিক্রি হবে বলে তার আশা।
তিনি বলেন, ‘দাম ধরে রেখে কোনো লাভ নেই। তাই অল্প লাভেই ছেড়ে দিচ্ছি। শেষে কী হয় বলা যায় না।’

রাব্বি নামে আরেক ব্যবসায়ী জানান, তিনি ১০টি গরু বিক্রি করেছেন। দামও মোটামুটি পেয়েছেন। শুক্রবার হিসেবে আজ বেচাকেনা কয়েকগুণ বেড়েছে।

উপজেলার বাকি পশুর হাটগুলোতেও একই চিত্র। দূর দূরান্ত থেকে আসা পশুবাহী ট্রাক রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে গরু নামানো হচ্ছে। দ্রুত নামিয়ে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখানেও দেখা গেছে গরু ভর্তি বাজার। পুরো হাট কানায় কানায় পূর্ণ। একদিকে ছাগল রাখা হয়েছে। বাকি অংশে রয়েছে গরু। সকাল থেকেই ক্রেতারা দরদাম করার পাশাপাশি কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন। এক ঘণ্টা অবস্থানকালে ১০ থেকে ১৫টি গরু বিকিকিনি হতে দেখা গেছে।
হেসাখাল বাজার হাট ইজারাদার আবুল বশর জানান,
সাস্থ্যবিধি মেনে সকলকে হাটে প্রবেশ করানো হচ্ছে।
চেষ্টা করছি কোন সমস্যা যেন হাটে না হয়।

এছাড়াও চেক করুন

রাজনৈতিক মামলায় পলাতক সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ

ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের দক্ষিন খাসেবাড়ী মোস্তাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ মো: ওবায়েদ উল্যাহ পিতার- …

৩ মন্তব্য