নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোটার্স ইউনিটির ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সোমবার (১৮ নভেম্বর) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধে সাংবাদিকদের ভূমিকা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু সালেহ শামীম এর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় প্রধান
প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন উর রশিদ আসকারী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম তোহা। সম্মানিত অতিথি ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস.এম আব্দুল লতিফ।
আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাক এর ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি বিমল সাহা।
এছাড়াও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদেও ডিন প্রফেসর ড. নাসিম বানু, সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবর রহমান, ছাত্র-উপদেষ্টা ও প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, পাকবাহিনীর নির্মম অত্যাচারের কাহিনী বিশ্ববাসীর নিকট লুকিয়ে রাখার জন্যে সাংবাদিকতার উপর অনেক কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। দৈনিক জনতা, দৈনিক ইত্তফাক, দৈনিক সংবাদের মতো পত্রিকাকে পাকিস্তানী শাসকদের প্রত্যক্ষ মদদে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সাড়ে সাত কোটি বাঙালির প্রাণের যে আন্দোলন সে আন্দোলনকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার জন্যে বেশ কিছু হলুদ সাংবাদিককে তারা ক্রিয়াশীল রেখেছিল। যারা সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমিক সাংবাদিক তাদের অনেক নিগ্রহ ও হত্যার শিকার হতে হয়েছে। তিনি বলেন, সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতার পথ কোনোভাবেই রুদ্ধ করা যায় না। আমরা দেখেছি, দেশের মাটিতে না হলেও, বিদেশের মাটিতে গড়ে উঠেছিল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। মহান মুক্তিযুদ্ধে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ভূমিকা বর্তমান সময়ের সাংবাদিকদের জানার দরকার আছে।
আলোচনাসভা সঞ্চালনায় ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোটার্স ইউনিটির সদস্য ফারহানা নওশীন তিতলী ও মারিয়া জামান এশা।
এর আগে, বেলা ৩টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোটার্স ইউনিটি অফিস থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। আনন্দ শোভাযাত্রার পর ১ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে কেক কাটা হয়।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে