রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একজন প্রয়াত বাংলাদেশি কবি ও গীতিকার যিনি “প্রতিবাদী রোমান্টিক কবি” হিসাবে খ্যাত। আশির দশকে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠে যে কজন কবি বাংলাদেশি শ্রোতাদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি তাদের অন্যতম। তার জনপ্রিয় কবিতার মধ্যে অন্যতম “বাতাসে লাশের গন্ধ”।
“আমায় যদি তুমি বলো ঈশ্বর,
আমি বলব, হ্যাঁ আমি তাই।
আমায় যদি বলো পাপী শয়তান,
আমি বলব, হ্যাঁ আমি তাই-ই।
-কারণ আমার মাঝে যাদের অস্তিত্ব
তার একজন ঈশ্বর; অপরজন শয়তান।
তাই যখন শয়তানের ছবিটি ভাসে
আমার মানব অবয়বে- তখন আমি পাপী।
আর যখন সত্যের পূর্ণতায় আমি-
মানবের কল্যাণে আমার কর্ম
ঠিক তখনই আমি ঈশ্বর; কারণ
সত্য, পুণ্য আর মানবতাই ঈশ্বর।
কবিতাটির নাম ‘আমি ঈশ্বর আমি শয়তান’। তার প্রথম কবিতা। কাঁচা হাতের লেখা। আবেগ আর উদ্দীপনায় ভরা, কিন্তু জীবনদর্শন ও চিন্তাধারার ধার সুস্পষ্ট। ১৯৭৩ সালে দৈনিক আজাদ পত্রিকায় প্রকাশ হয় কবিতাটি। কিন্তু রুদ্র এতে তার নাম ছাপেননি। নিজের কোনো বইয়ে একে স্থানও দেননি। অন্য প্রায় সকল কবির মতো তিনিও পরিণত পর্যায়ে এসে নিজের কাঁচা লেখাটিকে আড়ালে ঢেকে রাখতে চেয়েছেন নিশ্চিত। কিন্তু রুদ্রর প্রথম কবিতা হিসেবে কবিতাটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কবি তখন দশম শ্রেণির ছাত্র।
ব্যক্তি রুদ্র ও কবি রুদ্র উভয় সত্ত্বাই বাঙালি পাঠক সমাজের চেতনা ধারায় এক অনন্য সংযোজন। টালমাটাল সত্তরের দশকে সমাজ ও রাজনীতির উত্থান-পতনে ত্যাগ ও প্রাপ্তি, ধ্বংস আর নির্মাণ, প্রত্যাশা আর আশাভঙ্গের অনিবার্য অস্থিরতার সময়টিতে যারা কলম চালিয়েছিলেন, যারা সেই সময়টাকে আত্মোপলব্ধি ও সৃষ্টিশীল উন্মাদনার দ্বারা এক চিরন্তন প্রতীতি প্রদান করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম, কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। তার জীবনের অজানা কিছু কথা, কিংবা জানা কথাগুলোর অদেখা বাঁকগুলো জানবার ও জানাবার উদ্দেশ্যেই এই লেখার অবতারণা।
“বন্ধন মানে তবে কি শুধুই কারাগার শৃংখল?পাখির জীবন তবে কি সত্য হবেনা মানবপুরে?হবেনা কখনো স্বাধীন যেমন আদিম জীবন ছিলো?”
পাখির জীবনে আদিম জীবনের স্বাধীনতা খুঁজে ফিরেছিলেন তিনি। যেখানে অন্যায়, যেখানে অবিচার, সেখানেই ঝলসে উঠেছে তার লেখনী। ছিন্ন করতে চেয়েছে সকল অচলায়তনের বেড়াজাল। আশির দশকে তার কাব্যিক প্রতিবাদ ঝড় তুলেছিল বাংলার চিরায়ত সাহিত্য ভুবনের আকাশে। তার “যে মাঠ থেকে এসেছিল স্বাধীনতার ডাক, সে মাঠে আজ বসে নেশার হাট” কিংবা “আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই” ছিলো বাংলার প্রতিবাদী তারুণ্যের মূর্ত প্রতীক। যাবতীয় অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনমনীয় অবস্থান তাকে পরিণত করেছে ‘তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীকে। একই সঙ্গে তার কাব্যের আরেক প্রান্তর জুড়ে রয়েছে স্বপ্ন, প্রেম ও সুন্দরের মগ্নতা।
সাজেদুর আবেদিন শান্ত
সম্পাদক
উন্মেষ সাহিত্য সাময়িকী
ইমেইলঃ mdsantosazedur@gmail.com
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে
১২ মন্তব্য
Pingback: Vox Casino für deutsche Spieler
Pingback: new88
Pingback: จัดหาแม่บ้าน
Pingback: Descargar mostbet
Pingback: หวยลาว พลัส หวยลาว แม่น ๆ เข้า ทุก งวด
Pingback: แทงหวย 365
Pingback: เช็คสลิปโอนเงิน
Pingback: fear of god essentials
Pingback: OligioX ที่ไหนดี?
Pingback: EA Forex
Pingback: ddiyala
Pingback: https://istokfarm.kz/