আব্দুল্লাহ আল রাকিব, নাঙ্গলকোটঃ
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে পেঁয়াজ আর কাঁচা মরিচের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শাক-সব্জির দামও। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এমন উর্ধমুখী হওয়ায় প্রাত্যহিক বাজার করে পারিবারিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
শনি ও রবি দু’দিন পৌর এলাকার পৌর বাজার , হেসাখাল বাজার, আদ্রা বাজার , ঢালুয়া বাজার, টুয়া বাজারসহ উপজেলার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন বাজার ঘুরে শাক-সবজির চড়া দাম লক্ষ্য করা গেছে।
এ সব বাজারে অন্যান্য সময়ের তুলনায় অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন। তবে বাজার ভেদে এমনকি দোকান ভেদেও শাক-সবজির দামে ভিন্নতা দেখা গেছে।
এ সব বাজারে পেয়াজ প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০০ টাকা, ধনে পাতা ১৭০ থেকে ২০০ টাকা, শিম ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কাঁচা পেপে ৪০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, টমেটো ১১০ থেকে ১২০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা এবং বরবটি ৭০থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া যেকোনো শাক প্রতি আটি ১০-১৫ টাকা, ডাটা ৩০ টাকা, লাউ মাঝারি ৮০ টাকা, কাচ কলা হালি ৪৫-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ছোট ৩৫ টাকা, বড় ৫০ টাকা, ডিম প্রতি হালি ৩৬ টাকা এবং লেবু হালি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলছেন অতিবৃষ্টিতে এ বছর শাক-সব্জির ফলন ভাল হয়নি তাই পাইকারি বাজারে দাম বেশী। তাছাড়া যাতায়াত খরচ, খাজনা, পথে পথে অতিরিক্ত চাঁদা এবং অবিক্রিত কাঁচা মাল নষ্টের কারণে অতিরিক্ত দামে গণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে।
নাঙ্গলকোট কাঁচা বাজারের নিয়মিত এক চাকুরিজীবি ক্রেতা বলেন গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর সবজির দাম বেশি। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। আমার মতো সীমিত আয়ের মানুষের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।
CNNEWS24.COM সত্যের সন্ধানে সবার সাথে মিলে মিশে
৪ মন্তব্য
Pingback: Aviator
Pingback: 煙彈
Pingback: เน็ต บ้าน ais
Pingback: เว็บบอล UFABET350